অত্যাধিক জন্মহার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

প্রকাশঃ ২০১৯-০৬-২৩ - ১০:৪০

ঢাকা অফিস : রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছেই। সংখ্যার সাথে যোগ হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। উখিয়া উপজেলার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনই ঘরে ঘরে জন্ম নিচ্ছে নতুন মুখ। যা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি আর সমাজের জন্য উদ্বেগের কারণ।

১০ সন্তানের জননী রশিদা বেগম। পরিবার যত বড় হবে, সেই সাথে বাড়বে আয় উপার্জন- এমন ধারনায় ৪২ বছর বয়সের এই নারী প্রতি আড়াই বছর পর পরই জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন একটি করে সন্তান।

রশিদার মতো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নারীর চিত্র একই। নাগরিকত্ব, এমনকি জীবনের নিশ্চয়তা না থাকলেও ২০১৭ সালে এদেশে আসা বেশিরভাগ দম্পত্তিই এরই মধ্যে হয়েছেন এক সন্তানের বাবা-মা। অনেকেই আছেন হবার অপেক্ষায়। জন্ম নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সন্তান জন্মদানকে এখনো নিজেদের অর্জন হিসেবেই দেখেন শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠী।

জাতিসংঘ শরনার্থী কমিশন, ইউএনএইচসিআর এর হিসেবে, টেকনাফ ও উখিয়া এই দুই উপজেলার ৩৪টি শরনার্থী ক্যাম্পে প্রতিদিন গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৯২টি শিশু।  এই হারে প্রতিমাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন মুখ যোগ হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার। ২০১৭ সালের আগষ্ট থেকে এখন পর্যন্ত এ ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি শিশু। আগামী ১০ মাসের মধ্যে জন্ম নেয়ার অপেক্ষায় আছে আরো প্রায় ৩০ হাজার শিশু।

অসচেতন এই জনগোষ্ঠীর জন্ম নিয়ন্ত্রন ঠেকাতে কাজ করছে স্থানীয়ভাবে কাজ করা এনজিওগুলো।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশীপের চিকিৎসক ডা. রাফি আবুল হাসনাত বলেন, আমরা তাদেরকে বেশি সন্তানের কুফল, পরিবার পরিকল্পনা, বেশি বেশি গর্ভবতী হওয়ার কুফল সম্পর্কেই বেশি সচেতন করে থাকি। এতে তারাও আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে এবং তারা নিজ উদ্যোগের এসেই এখন পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে।

এত কিছুর পরও অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে বিচলিত না হওয়া এ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ছে।