আইএসে যোগ দেয়া কেউই বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই

প্রকাশঃ ২০১৯-০৬-০২ - ১০:৪৯

ঢাকা অফিস : মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের কথিত খেলাফতের অবসান ঘটার পর তাতে যোগ দেয়া বাংলাদেশিদের কারও দেশে ফেরার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ নজরদারির পাশাপাশি অনুমতি ছাড়া কাউকে ট্রাভেল পারমিট না দিতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সিরিয়া ও ইরাকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠির তথাকথিত খেলাফতের চূড়ান্ত পতন ঘটেছে মার্চে। বিশ্বের ৮০ টি দেশ থেকে প্রায় ৪০ হাজার জঙ্গি আইএসে যোগ দিয়েছিলো। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে পাড়ি জমায় সেখানে। যাদের মধ্যে বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে।

আইএসের পতনের পর অনেকেই দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, যাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে বা উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। এরই মধ্যে বেশ আলোচনায় আসেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম। সেখানকার নাগরিকত্ব বাতিল হলে তিনি বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করবেন কিনা তাও ছিল জল্পনায়। অবশ্য শামিমা বাংলাদেশের নাগরিকই নন বলে জানানো হয়েছে।

তবে, ৫ই মে সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া মুতাজ আব্দুল মাজিদকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দেশে ফিরতে শুরু করেছে যুদ্ধ ফেরত জঙ্গিরা? পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, এমন সুযোগ আর নেই।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, যাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য আছে, যারা বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে আইএসে যোগ দিতে গেছে তাদের সম্পর্কে আমরা আমাদের বিমানবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশনে জানিয়ে রেখেছি এবং আমরাও নজরদারী করছি। ফলে কেউ যদি বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে ইমিগ্রেশন পয়েন্টেই সে চিহ্নিত হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় জঙ্গিদের ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত অনেকেই আইএসের হয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধ করেছিলো। তাদের অনেকেই নামে বেনামে শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসে। প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে কিনা?

এর উত্তরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান বলেন, এখন আইএসের কোন সাংগঠানিক কাঠামো নেই। বিচ্ছিন্নভাবে তাদের কিছু সাপোর্টার বা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল কেউ কেউ থাকতে পারে। কিন্তু তার যেসব ঘটনা ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল, সেগুলো বাংলাদেশ পুলিশের কিছু ইউনিট ভেস্তে দিয়েছে।

এরইমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর বেশিরভাগই আইএসের সঙ্গে যোগ দেয়া সবার নাগরিকত্ব বাতিল ও দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।