আগামী ১০ নভেম্বর থেকে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু

প্রকাশঃ ২০১৯-১০-২৩ - ১৮:০৬

বিজ্ঞপ্তি : শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হচ্ছে রবিবার ১০ নভেম্বর। প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে এই রাস উৎসব হয়ে আসছে।  বুধবার বিকাল ৪টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বলেন, দুবলার চরে রাসমেলা উপলক্ষে হাজার হাজার লোকের আগমন ঘটে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, কন্ট্রোল রুম স্থাপন, যাতায়াত ব্যবস্থা, পরিবেশ দূষণরোধ, অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন সহ নানা বর্জ্যর সঠিক ব্যবস্থাপনায় এ বছর সুষ্ঠু স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষ দুবলার চরের আলোরকোলে রাস উৎসবে অংশ গ্রহন করেন। এবারও লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আয়োজকেরা আশা করছেন। রাস উৎসবের জন্য সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে মোট আটটি প্রবেশ পথ নির্ধারণ করেছে বনবিভাগ। প্রবেশ পথ ঘুলো হল, ঢাংমারী, বগী, কচিখালী, শরণখোলা স্টেশন, বুড়িগোয়ালিনি, কৈখালী, কয়রা কাশিয়াবাদ এবং নলিয়ান। এসব স্থান থেকে বনভিাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করা যাবে। সুন্দরবন বিভাগের বনসংরক্ষক জানান, আলোরকোলে দর্শনার্থীদের জন্য আটটি প্রবেশ দ্বার রাখা হয়েছে। নিবন্ধিত একশ ফুটের বেশি লম্বা লঞ্চ প্রতি প্রবেশ ফি এক হাজার টাকা, একশ ফুটের নিচের লঞ্চের প্রবেশ ফি ৮০০ টাকা, পঞ্চাশ ফুটের নিচে ৫০০ টাকা, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার প্রতি ৩০০ টাকা, ষ্পীডবোট ২০০ টাকা এবং নৌকা প্রতি ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। “প্রতিটি লঞ্চ ও ট্রলার রাখার জন্য (অবস্থান ফি) বন বিভাগকে দিতে হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে। সুন্দরবনে ঢুকতে প্রতি দর্শনার্থীকে তিনদিনের জন্য ৫০ টাকা হারে প্রবেশ ফি দিতে হবে।” রাস উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিএফ বলেন, সুন্দরবনে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী ও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, র্যা ব ও পুলিশ আলাদা আলাদা টিম করে টহল দিবে। অন্যদিকে উৎসবের আড়ালে কোন চোরা শিকারিরা যাতে বনের কোন ক্ষতিসাধন না করতে পারে সেজন্য বনবিভাগের কঠোর নজরদারি থাকবে।