আরও ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশঃ ২০২১-০৪-০১ - ১৮:৪১

ঢাকা : আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী কোভিশিল্ডের চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল)  তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা আমাকে এমনটিই জানিয়েছে। আর পরবর্তী চালানে ২০ লাখের মতো ডোজ আসতে পারে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমি গতকাল (বুধবার) বেক্সিমকোর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, দুই থেকে চার দিনের মধ্যে কিছু টিকা পেতে পারে। তারা (বেক্সিমকো) তো সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার তা আমরা করছি।’

‘আমাদের কন্টাক্ট করা ভ্যাকসিন এগুলো, টাকা পয়সা পেইড করা ভ্যাকসিন; না দেওয়াটা সঠিক নয়।’—যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে। চুক্তির আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশে রফতানি করবে বলে কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। এগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রথমে গত ২১ জানুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ এবং সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ।

গত ২৬ মার্চে আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে, আগামী ৮ এপ্রিল টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ টিকা এখনও দেশে আসেনি। আর সম্প্রতি ভারত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা রফতানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

তাতে করে টিকা নিয়ে শঙ্কা দেখা যায় দেশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেও এ শঙ্কা থেকে গত ২৯ মার্চ বলেছিলেন, ‘এই মাসে টিকার যে চালান আসার কথা ছিল সেই টিকা আমরা পাইনি। সেটা যথাযথ পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।’

তিনি সে দিন আরও বলেন, ‘যে সংখ্যায় টিকা পাওয়ার কথা তা যদি আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তা ব্যাহত হবে না। আর যদি টিকা না পাই তাহলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে চিন্তা করতে হবে।’