আ’লীগে কোন মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজা, ভূমিদস্যু স্থান পাবে না

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-২৬ - ২৩:২৮

ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব শিশুকাল থেকেই মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি শিশুকাল হতে মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতেন। অন্যের কষ্টে নিজে অংশীদার হয়ে সকল কষ্টকে ভাগাভাগি করে নিতেন। নিজের বাবার গোলার ধান অভাবী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি সব সময়ই ওই সকল মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। যেকারনে তিনি জবীনের অধিকাংশ সময়ই কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে শুধুমাত্র আর্থিক ও সম্পদের ত্যাগ করতেন তা নয়; তিনি এদেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজের সন্তান পরিবার পরিজনকে পর্র্যন্ত সময় দেন নি। সন্তান হয়েও বাবাকে চিনতে পারেনি। এতো কষ্ট করে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য রাজনীতি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু মুজিব সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে রাজনীতি করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে আগে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যারা দলের নাম ব্যবহার করে রাতারাতি কোটিপতি হতে রাজনীতি করতে চান তাদের এ দলে স্থান নেই। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে অঙ্গিকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড, থানা সহ সকল সহযোগী সংগঠনে ত্যাগী পরীক্ষিত কর্মী ছাড়া কোন মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজা, ভূমিদস্যু স্থান পাবে না।
বুধবার বাদ মাগরিব খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মো. আশরাফুল ইসলাম, শেখ শহিদুল ইসলাম। খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম সানাউল্লাহ নান্নুর সভাপতিত্বে এবং থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশারের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সৈয়দ আলী, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর তালাত হোসেন কাউট, কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, কাউন্সিলর খুরশীদ আহমেদ টোনা, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর রহিমা আক্তার হেনা, কাউন্সিলর ডালিম, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন, এনায়েত আলী আলো কাজী, মো. সেলিম আহমেদ, আব্দুল হামিদ সরদার, মো. শফিউল্লাহ, মোর্শেদ আহমেদ মনি, সাফায়েত হোসেন প্যারেট, জিয়াউল আলম খান খোকন, সরদার আলী আহমেদ, মোল্লা হায়দার আলী, শাজাহান জম্মাদার, ইমরুল হোসেন, মো. আসলাম আলী, মো. তাজুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, সমীর কুমার দে, হাসান হাফিজুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ সায়েম, এ্যাড. আহাদুজ্জামান, শারমীন রহমান শিখা, শাহানা শারমিন, কাজল, হাজেরা বেগম, শিখা রানী, আবুল কালাম আজাদ, আবু হানিফ, মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান, খলিলুর রহমান,দ্বীন ইসলাম সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। স্মরণ সভা শেষে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।