ইয়াঙ্গুনে বিমান দুর্ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশঃ ২০১৯-০৫-০৯ - ১৯:১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।

মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ আরও জানান, ‘আহতদের চিকিৎসার যে কার্যক্রম চলছে, সেটা বিমানের পক্ষ থেকে আমরা পুরোপুরি সাপোর্ট দিচ্ছি। এর পরবর্তিতে যদি আরও উন্নত চিকিৎসা লাগে আমরা সেটার ব্যবস্থাও করবো। সব যাত্রীই এখন শঙ্কা মুক্ত আছেন।’

তিনি জানান, ‘পুরো বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিমানের পক্ষ থেকে একটি ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। যার নেতৃত্বে আছেন বিমানের চিফ অব ফ্লাইট সেইফটি কেপ্টেন শোয়েব চৌধুরী। তিনি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর প্রতিবেদন দিবেন। প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টা পরে জানানো হবে।’

এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া পাঁচটায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট। বিশেষ ফ্লাইট বিজি ১০৬১- এ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা। তবে তাদের মধ্যে ইয়াঙ্গুনে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের কোনও যাত্রি নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৬০ ফ্লাইটটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায়, বিমানটির পাইলটসহ অন্তত চারজন গুরুতর আহত হন।

বিজি জিরো সিক্স জিরো ফ্লাইটটিতে মোট যাত্রী ছিল ৩৫ জন। এদের মধ্যে ইয়াঙ্গুনের নর্থ ওক্কালাপা হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই ৫ জনকে ছুটি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটিতে ১৫ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন বিভিন্ন দেশের যাত্রী ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় ২৯ যাত্রী এবং পাইলট ক্রুসহ ৩৫ জনই কমবেশি আহত হয়েছিলেন।

ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের স্বজনরা জরুরি তথ্যের জন্য একটি হেল্প লাইন খুলেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। যার নাম্বার ০২৮৯০১৫৩০

বুধবার বোম্বারডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ বিমানটি বিকেল ৩.৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর সন্ধ্যা ৬.২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। অবতরণের সময় বিমানটিতে, এক শিশুসহ ২৯ জন যাত্রী ছিলেন।

কানাডায় প্রস্তুতকৃত বিমানটি সর্বোচ্চ ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে ৫৫৬ কিলো/ঘন্টা গতিতে ২৭০০০ ফুট উঁচুতে উড়তে সক্ষম ছিল। বাংলাদেশ বিমানের বহরে এ ধরনের তিনটি বিমান রয়েছে যার দু’টি মিশরের স্মার্ট এভিয়েশন কোম্পানি থেকে ২০১৫ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভাড়ায় আনা হয়।