ওষুধ শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে

প্রকাশঃ ২০১৯-০৬-২০ - ১৫:০৪

ঢাকা অফিস : ঢাকার ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এমন তথ্য বাস্তবতা বিবর্জিত বলে দাবি দোকান মালিকদের। এর পেছনে গভীর চক্রান্ত কাজ করছে বলে মনে করেন তারা। তবে নামী কোম্পানিগুলো মেয়াদ পার হওয়া ওষুধ ফেরত নিতে টালবাহানা করেন বলে জানিয়েছেন তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত ছয় মাসে যেসব ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান পরিদর্শন করেছে তার ৯৩ ভাগেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদন পেয়ে এক মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নিয়ে ও ধংস করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তো বটেই আরো দু-এক মাস মেয়াদ আছে এমন ওষুধও সরিয়ে ফেলছেন দোকানীরা।

ফার্মেসি মালিকদের দাবি, দোকানে যাতে মেয়াদ পার হওয়া ওষুধ না থাকে এজন্য তারা নিয়মিত তদারকি করেন। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হওয়ার তারাও মেয়াদ দেখেই ওষুধ কিনেন। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তথ্যে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। তারা এটাকে কোন আন্তর্জাতিক চক্র ও ষড়যন্ত্র মনে করছেন। আর এতে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ, নামী-দামী ওষুধ কোম্পানিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নিতে চায় না। ফলে লোকসান গুনতে হয় তাদের। একজন ফার্মেসি মালিক বলেন, ‘ আমরা এগুলো ফেলেও দিতে পারিনা, আমাদের তো টাকা ইনভেস্ট করা আছে এখানে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, ওরিওন, স্যানডোজ ও বেক্সিমকো মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোন ওষুধই ফেরত নেয়না’।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্টন বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিদিনই এক্সপায়ার হবে, প্রতিদিনই আমরা গারবেজে রাখবো এবং কোম্পানিকে ফেরত দিবো। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয় যে কথা বলেছেন তার ধিক্কার জানাই এবং এই তথ্যটা সঠিক নয়’। তিনি আরো জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার তারা মেনে চলবেন। এছাড়াও কোম্পানিগুলোকে ঠিক সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নিতেও অনুরোধ করেন তিনি।