এ নিয়ে দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যু হলো ১,২৬২ জনের। আর, করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ৯৪ হাজার ৪৮১ জন ব্যক্তি।
দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ১০১তম দিনে আজ মঙ্গলবার (১৬ই জুন), রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ সকল তথ্য জানান অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত মহাপরিচালক-প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর, মোট ৬১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭,২১৪টি। একদিনে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষার রেকর্ড এটি। এরমধ্যে ৩,৮৬২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৪৪ শতাংশ।
এর ফলে, দেশে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। এর আগে, গত ১২ই জুন ৩,৪৭১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনাক্ত হয়েছিলেন। এছাড়া, ৫৩ জন মারা যাওয়াও এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। গত ১২ই জুন সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যুই ছিলো এতদিন সর্বোচ্চ।
নাসিমা সুলতানা সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আরও জানান, ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। আর, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২,২৩৭ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ সুস্থতারও রেকর্ড। ফলে, এ পর্যন্ত দেশে ৩৬ হাজার ২৬৪ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সুস্থ হলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু এরপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে, কিছু জায়গায় রেড জোন চিহ্নিত করে চলছে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।
