করোনায় পাশে না থাকায় দাকোপে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-০৬ - ১৭:০৬

আজগর হোসেন ছাব্বির : বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের মানুষ বর্তমানে অভিন্ন অদৃশ্য শত্রু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খুলনার দাকোপ উপজেলায় এর প্রভাবটা আরো বেশী। কারন এখানকার জনসাধারন অধিকাংশ শ্রমজীবি হওয়ায় বর্তমানে তাদের খাদ্য সংকট চরমে। কিন্তু ভোটের মাঠে যাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে দাকোপের মাঠ ঘাট সেই বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কারো দেখা মিলছেনা অসহায় মানুষের পাশে।
সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত হওয়ায় দাকোপ অঞ্চলকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে ভাবা হয়। তবে ধীরে ধীরে সেই অবস্থার যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা বিগত কয়েকটি নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সমিকরনে স্পষ্ট। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে পরিবর্তনের ধারায় যোগ দিতে চায় মানুষের এই চরম দুঃসময়ে তাদের জনগনের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা আজ প্রশ্নের সম্মুক্ষিন। যেখানে করোনা মেকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্য অনুযায়ী অভুক্ত মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বিরোধীদল জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যেন কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই ! এমনকি নিজেদের অসহায় দুস্থ কর্মিদের পাশে এসে তাদের দাড়াতে দেখা যায়নি। অথচ এই দু’টি দলের ডাক সাইডের নেতা এখানে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে এই মানুষের কল্যানে নানা কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। এমনকি বিএনপি জাপার স্থানীয় নেতাদেরও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারনের পাশে দাড়াতে দেখা যায়নি। খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমির এজাজ খান দীর্ঘ কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে দাকোপ বটিয়াঘাটা থেকে দলের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করে আসছেন। যিনি একটি বৃহৎ জেলার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের চরম দুঃসময়ে পাশে দাড়াবেননা এটা সাধারণ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবতা তাই। অপরদিকে সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে বিগত দু’টি সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী সুনিল শুভ রায় দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী সদস্য, দলীয় চেয়ারম্যানের প্রেস এন্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারী। পদের বিবেচনায় খুলনা অঞ্চলের সব দলের মধ্যে তিনিই প্রভাবশালী নেতা। খোজ নিয়ে জানা গেছে সেই জাতীয় পার্টির দুস্থ কর্মিরা আজ ত্রানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি জাপার তৃনমুলের কর্মিরা ক্ষোভের সাথে বলেন, জেলা কেন্দ্রতো খবর নিচ্ছেই না, এমনকি উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা করোনায় কেমন আছি সেই খবরটি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’টি দলের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আজ সর্ব সাধারনের কাছে প্রশ্নের সম্মুক্ষিন। যার প্রভাব হয়ত আগামী দিনের ভোটের মাঠে দেখা যাবে।