করোনা: ঈদেও মাঠে স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২৫ - ১৮:০৭

ঢাকা অফিস : অন্য পেশার সবাই যখন নিরাপদে ঈদ উদযাপন করছেন, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসিমুখে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ঈদেও মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা। মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীরাও। অন্য পেশার সবাই যখন করোনা এড়াতে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে নিরাপদে ঈদ উদযাপন করছেন, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসিমুখে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা।

পৃথিবীর এই দুঃসময়ে প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা হয়ে যারা করোনা রোগীর সেবা দিচ্ছেন তারা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

স্বজনদের ছাড়া আগেও ঈদে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা। কিন্তু এমন ঈদ কখনও আসেনি তাদের জীবনে। কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা।

চিকিৎসক রেবেকা সুলতানা বলেন, আমরা যখন রোগীদের কাছে যাই তখন তারা প্রশান্তি অনুভব করে। আমার পরিবারের সদস্যরাও আমাকে সাপোর্ট দিয়ে গেছে। তাদের কারও কোন প্রশ্ন নেই আমার কাজের প্রতি।

যেখানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের ছুটি পরিবারের সাথে বাড়িতে উদযাপন করছেন, সেখানে করোনার ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করছেন গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গণমাধ্যমকর্মী জিনিয়া কবির সূচনা বলেন, আমরা তথ্য না দিলে সাধারণ মানুষের জানার কোন জায়গা থাকবে না। এই মহামারির সময়ে গুরুত্বপুর্ন তথ্য আমাদেরকেই পৌঁছে দিতে হবে। দুঃসময় হোক আর সুসময় হোক আমাদের সংবাদ পৌঁছে দিতেই হয় মানুষের কাছে।

গণমাধ্যমকর্মী রাশেদ লিমন বলেন, এবারের পরিস্থিতি অনেক ভিন্ন। অন্যান্য সময় দেখা গেছে কাজের ফাঁকে, অফিসে ঈদের আনন্দটা উপভোগ করতাম কিন্তু এবার তেমন কোন অবস্থাই নেই।

কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব পেশারজীবীর মানুষ। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের নিজ ধর্ম অনুযায়ী সৎকার করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঈদের দিনেও স্বেচ্ছায় করোনায় মৃতদের সৎকারে পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারা।

সৎকার করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতারও সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক ছালেহ আহমেদ বলেন,ঈদের দিনেও আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমরা চেষ্টা করছি যে যেই ধর্মের তাকে সেই রীতি অনুযায়ি দাফন করা।

এই দুঃসময়ে উৎসবের দিনে পরিবার ছাড়া এসব পেশার মানুষ যে সেবা দিয়ে চলেছেন, তা শুধু মানুষকে ভালবেসেই, এমনটাই বলছেন তারা।