করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে ঈদের জামাত হয় মসজিদে

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-২৫ - ১৩:১৪

ঢাকা অফিস : জাতীয় ঈদগাহ, শোলাকিয়াসহ খোলা মাঠে হয়নি ঈদের জামাত।

করোনাকালে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ঘরবন্দি অন্যরকম ঈদ। ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে কোলাকুলি থেকেও বিরত ছিলেন মুসুল্লিরা।

করোনা সংক্রমণ রোধে এবার এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বড় ঈদগাহ মাঠ দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে প্রত্যেক মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ১৯৩ তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদসহ শহরের বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামেও খোলা মাঠে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়নি। সকাল ৮টায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৯ টায়।  এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মসজিদগুলোতে  ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়।

সামাজিক দূরত্ব মেনে বরিশাল নগরীর চকবাজারের জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে ঈদের ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য মসজিদে ৩টি ও ২টি করে ঈদ জামাত আয়োজন করা হয়।

খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত নগরীর টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। এছাড়া অন্যান্য মসজিদে ঈদের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা মেনে রাজশাহীতে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮ টায় নগরীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ মসজিদে। এছাড়া নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদে দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নাটোরে সকাল সাতটায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মুসল্লিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন স্থানে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উপকূলীয় এলাকায় নেই কোনও ঈদের আমেজ।