করোনা শনাক্ত: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটশ বসতঘর লকডাউন

প্রকাশঃ ২০২০-০৫-১৬ - ১৬:৪৪
কক্সবাজার : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে করোনা আক্রান্ত এক রোহিঙ্গার বাড়ি ও বসবাসকারি ব্লকসহ আশপাশের আট শতাধিক বসত ঘরে ‘লকডাউন’ করে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার প্রশাসন।

শুক্রবার (১৫ই মে) সকাল থেকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের এলাকার ডিডব্লিউ ক্যাম্পের এফ-ব্লকে লকডাউন ঘোষণা করে এ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার। আক্রান্ত রোহিঙ্গা ব্যক্তি কুতুপালংয়ের ডিডব্লিউ ক্যাম্পের এফ-ব্লকের বাসিন্দা। এতে অন্তত ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অবরোধের আওতায় পড়েছে।

শরণার্থী কমিশনার জানান, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার করোনা পজিটিভ হিসেবে আরও ৪ জন রোহিঙ্গা আক্রান্ত হবার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। মূলত এরা বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অন্যজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মী।

মাহবুব আলম আরও বলেন, গত ১৪ই মে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমবারের মত একজন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। সে উখিয়ার কুতুপালং ডিডব্লিউ এফ-৫ ব্লকের বাসিন্দা। তাকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এতে করোনা আক্রান্ত ওই রোহিঙ্গার বসত ঘরসহ তার বসবাসকারি ব্লক ও আশপাশের অন্তত ৮ শতাধিক পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়ে লকডাউনের আওতায় আসা পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রেখেছে পুলিশসহ অন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী।

এছাড়া অবরুদ্ধ ঘোষিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওই এলাকায় এনজিও সংস্থার কর্মীসহ সাধারণ রোহিঙ্গাদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে বলে জানান শরণার্থী কমিশনার।