কলেজের সুনাম আছে কিন্তু উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ নেই

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-২৮ - ২১:১৭

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা শহরের কেন্দ্র স্থলে স্থাপিত একমাত্র মহিলা কলেজের সুনাম আছে। কিন্তু ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ-সুবিধা এখনো বাড়েনি। বিশেষ করে ডিগ্রী কলেজের পর্যায়ে থাকলেও তার উন্নয়ন পিছিয়ে পড়েছে। পূর্ণাঙ্গতা অর্জিত হয়নি। যার অন্যতম অন্তরায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক সংকট সরকারি নজর দারির অভাব। লেখালেখি হলেও কাজে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিসহ নারী শিক্ষার প্রতি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও গাইবান্ধা মহিলা কলেজটি তা থেকে বঞ্চিত। গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে ১৯৬৯ সালে ৬৮ শতাংশ আয়তন বিশিষ্ট জায়গা-জমিতে এই একমাত্র মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠি হয়। প্রতিষ্ঠা কালে কলেজটি ছিল বে-সরকারি। অনেক চেষ্টা চালিয়ে ১৯৮৪ সালে ১ নভেম্বর তারিখে তা সরকারি করণ করা হলেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন নেই। এক সরকার বিদায় নেয়-নতুন সরকারের আগমন ঘটে। এরপরও কলেজটির কোন পরিবর্তন ঘটেনি। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একমাত্র মহিলা কলেজের উন্নয়নে খুব একটা আন্তরিক হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত উন্নীত হলেও বি-এসসি’র গ্রুপ খোলা নিয়ে অনীহা চলছে। তদুপরি ধীর গতিতে পর্যায়ক্রমে কলেজটি অনার্স কোর্সে রূপান্তরের আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল কাদের। কলেজটিতে বর্তমান ছাত্রীর সংখ্যা ১ হাজার ৭’শ জন। এরা সকলেই উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষারত। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, ডিগ্রী ক্লাসে নানা জটিলতা কারণে ছাত্রীর ভর্তির হার কম। কলেজটিতে মহিলা আবাসিক হোস্টেল এখনো কাজে লাগছে না। তবে অনার্স কোর্স চালু হলে ছাত্রীরা মহিলা হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতো।
উপাধ্যক্ষ শামছুল হক জানান, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হলেও ডিগ্রী ছাত্রীর ভর্তি হওয়ার সুযোগ বাড়ানো সম্ভব।
অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, কলেজে অনার্স কোর্স চালু হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। অনার্স কোর্স চালু হলে অত্রালাকার শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেত। কলেজটির ফলাফল অন্যান্য কলেজের তুলনায় আশানুরূপ হওয়ায় বিগত বছর গুলোতে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীদের গড় পাশের হার ৮৫%। এই হার ক্রমাগত বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বতর্মান শিক্ষক সংখ্যা ২৪ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ৯ জন। তবে শূন্য পদের মধ্যে ৭টি বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে অনার্স কোর্স চালুর জটিলতা কেটে যেতে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইতোপূর্বে কয়েক বার আবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। কলেজটি সমস্যা গুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সুধীজন।