কাস্টমসের কারণেই মোংলা ইপিজেডে ১০/১২ ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-৩০ - ০৫:১৪

মোংলা প্রতিনিধিঃ মোংলা বন্দর একটি সম্ভাবনময় বন্দর, খুব মহৎ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এ বন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন সরকারের বিমাতা সুলভ আচরণ ও রাজনৈতিক হীনমনতার কারণেই এ বন্দরের যে ধরণের উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোংলা বন্দরকে সচল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে যারা ক্ষমতা এসেছিলেন বিএনপি-জামায়াত তাদের উদ্দেশ্যই ছিল বন্দরটি বন্ধ করার। এরপর ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আবারো এ বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড শুরু হয়। তাই সকলকে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এ বন্দরের উন্নয়নে একসাথে কাজ করে শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। রবিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শেষে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩ নং সাব কমিটির সভাপতি ও বাগেরহাট-০৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের এমপি আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু শুধু মোংলা বন্দর নয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারাদেশকে আলোকিত করবে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। তবে কাস্টমসের কারণে মোংলা ইপিজেডে ১০/১২টি ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিষয়ে বৈঠকে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় তার সাথে কমিটির অপর দুই সদস্য যশোর-০৪ আসনের এমপি রণজিৎ কুমার রায় ও ঝিনাইদহ-০৪ আসনের এমপি মো: আনোয়ারুল আজীম আনার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের আগে কমিটির সদস্যরা মোংলা বন্দরের জমি ও জমির উপর নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনাদি ঘুরে দেখেন। কমিটির নেতৃবৃন্দরা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লীজ দেয়া জমির পরিমাণ, লীজ দেয়া জমি কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, লীজ থেকে আয়ের পরিমাণ ও কি পরিমাণ জমি লীজ দেয়া যাবে সে সব বিষয় তথ্যাদি জানতে চান। বৈঠকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরেই নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাব কমিটির সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশ্যে মোংলা বন্দর ত্যাগ করেছেন।