কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই

প্রকাশঃ ২০২১-০২-২০ - ১২:৩০

ইউনিক ডেস্ক : চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বরেণ্য এ অভিনেতা এসূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে আব্বার বাসায় আসছি।’
অভিনেতা কখন মারা গেছেন জানতে চাইলে ‘জানি না’ বলেই আবারও অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মেয়ে। বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন কোয়েল।
এ অভিনেতার মৃত্যু সাংস্কৃতিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো আলাদা শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুম এটিএম শামসুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র আগমন হয় এটিএম শামসুজ্জামানের। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। প্রবীণ এ অভিনেতা আজও দর্শকের কাছে নন্দিত।
এদিকে বরেণ্য এই অভিনেতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে নারিন্দায় পীর সাহেবের বাড়িতে এবং দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ আসর সূত্রাপুর মসজিদে। এরপর বরেণ্য এই অভিনেতাকে দাফন করার কথা রয়েছে জুরাইন কবরস্থানে।
এটিএম শামসুজ্জামানের ভাই হাজী সোলায়মান জামান রতন জানান, আজিমপুর আর জুরাইন দুই কবরস্থানে দাফনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। তবে জুরাইন কবরস্থানে দাফনের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।