কে হচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি?

প্রকাশঃ ২০২১-০১-২৯ - ২১:৩৪

দেশ প্রতিবেদক : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নতুন উপাচার্য কে হচ্ছেন? এ নিয়ে যেন জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় টার্মের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার ২৮ জানুয়ারি। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদের মেয়াদ মিলিয়ে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এক দশক ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। সফলভাবে পূর্ণ মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব শেষ করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনি এক নজির স্থাপন করলেন। বৃহস্পতিবার শত শত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আসনে পরবর্তীতে কে বসতে যাচ্ছেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। পদটিতে আসীন হতে প্রতিযোগিতার দৌড়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের ও বাইরের বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পরবর্তী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেতে শুরু করেছেন ব্যাপক যোগাযোগ ও লবিং। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নীতিনির্ধারকদের কাছে এ পদের জন্য ব্যাপক লবিং ও রাজনৈতিক তদবির শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশী শিক্ষকরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে খুবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন, খুবির বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বারের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, আইন স্কুলের ডিন ও প্রধান খুবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. অলিউল হাসানাত এবং অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান সহ ঢাকার খ্যাতনামা কয়েকজন শিক্ষকের নাম শোনা যাচ্ছে। এর বাইরে অনেক সিনিয়র শিক্ষকের ইচ্ছা থাকলেও রাজনৈতিক দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার কারণে তারা নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন। তবে অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নামটি সর্বমহলে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। কেননা তিনি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। রাজনৈতিক পরিচয়, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিচার করলে তিনি আগামী দিনের খুবির ভিসি হতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার আচার্য তথা রাষ্ট্রপতির। তবে রাষ্ট্রপতি এককভাবে এই নিয়োগ দেন না। বিভিন্ন মাধ্যমে আসা নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব আকারে নথি তৈরি করে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বা অন্যান্য পদে কে নিয়োগ পাচ্ছেন, তা অনেকাংশে নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ের ওপর। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. সামিউল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, আশা করছি সরকার রাজনীতিমুক্ত ঐহিত্যবাহী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাকে দায়িত্ব দেবেন তার হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয় আরও উচ্চতায় যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ ও উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রাখবেন।