কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল নির্মান হলে চিকিৎসা পাবে ২ লাখ মানুষ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-০৪ - ১৬:০৫

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : উপকুলীয় জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল না থাকায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ জনপদের মানুষ অসুস্থ হলে প্রায় ১৬ কিলো মিটার দুরে জায়গীর মহল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কয়রা বাসির প্রানের দাবি কয়রা সদরে ১ টি হাসপাতাল নির্মান করা হলে এ এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। এলাকাবাসি জানায়,কয়রা সদরে কোন সরকারি হাসপাতাল না থাকায় উপজেলা পরিষদের সরকারি কর্মকর্তা,কর্মচারি সহ সাধারন মানুষ অসুস্থ হলে জায়গীর মহল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। বিশেষ করে উপজেলার সর্ব দক্ষিনে উত্তর ও দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের মানুষদের কাছে চিকিৎসা সেবা শুধু স্বপ্ন। ঐ দুটি ইউনিয়ন থেকে কয়রা হাসপাতালে দুরুত্ব প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলো মিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অনেক অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে হয়েছে। কপোতাক্ষ কলেজের অধ্যাপক আবম আব্দুল মালেক বলেন,সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল খুবই জরুরী। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে দক্ষিন বেদকাশি,উত্তর বেদকাশি,কয়রা সদর,মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত কয়রা সদর আর এই প্রাণ কেন্দ্রে একটি হাসপাতাল নির্মানের দাবি দির্ঘদিনের। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন,জনবান্ধব এই সরকারের কাছে কয়রা বাসির প্রানের দাবি অবিলম্বে কয়রা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মান করা হোক। দক্ষিন বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান কবি জিএম শামছুর রহমান বলেন, তার এলাকার সাধারন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা যেয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। জায়গীর মহল হাসপাতালে যাওয়া জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় লঞ্চযোগে খুলনায় যেতে হয়। গরীব অসহায় মানুষের জন্য সেটি হয়ে ওঠে খুবই কষ্টসাধ্য। তাই তিনি অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল নির্মান জরুরী। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন,আইলা বিধস্থ কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল প্রয়োজন। তিনি কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন,কয়রা সদরে একটি হাসপাতাল নির্মানের বিষয়টি সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এ জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।