খুলনায় এক সপ্তাহের অভিযানে মাদকসহ আটক ১৮

প্রকাশঃ ২০১৯-০৫-২৮ - ১৪:২৩

কামরুল হোসেন মনি : খুলনার কয়েকটি উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে। এ সব ভারতীয় সীমানা দিয়ে চোরাই পথে মাদক ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে। চোরাই পথে ভারত থেকে আসা মাদকের মধ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ও বিভিন্ন ধরনের মদ। খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় মাদক বিক্রেতারা কৌশল অবলম্বন করছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চোরাচালান ও মাদকপ্রবণ এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের বিশেষ টিম গঠন করেছেন। এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনা জেলা ও সিটিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকসহ ১৮ জনকে আটক করেছেন।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে মাদকদ্রব্যের বিক্রয়, পাচার, চোরাচালান ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধসহ মাদক অপরাধ জনিত কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘিœত না হয় সে ব্যাপারে ১৬ সদস্যের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মিত মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী ২ জুন থেকে সপ্তাহব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান ও টহল জোরদার করার জন্য এই টিম গঠন করা হয়।
জানা গেছে, খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে “ক” ও “খ” সার্কেল এবং খুলনা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের স্টাফের সমন্বয়ের মাধ্যমে অধিক্ষেত্রের মাদকপ্রবণ এলাকায় ও লাইসেন্স প্রিমিসেসের আশপাশ এলাকায় কঠোর নজরদারী ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সপ্তাহব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান ও টহল কার্যক্রম জোরদার করার জন্য ১৬ সদস্যের টিম গঠন করা হয়। সংস্থার ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হালাদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক করে এই টিম গঠন করা হয়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ‘ক’ ‘খ’ ও বিভাগীয় গোয়েন্দা সংস্থা মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
এর মধ্যে গত ২২ মে সংস্থার উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে ‘খ’ সার্কেলের পরিদর্শক মোঃ সাইফুর রহমান রানার নেতৃত্বে তেরখাদা থানার মির্জাপুর গ্রাম থেকে মোঃ জাহাঙ্গীর শেখের পুত্র মোঃ ইমরান শেখকে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। ২৩ মে খুলনা গোয়েন্দা এর পরিদর্শক পারভীন আক্তার এর নেতৃত্বে খুলনা সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়ার মহিরবাড়ির খালপাড় থেকে আমিরুল সরদারের পুত্র মোঃ হুমায়ুন কবিরকে ৩০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেন। এছাড়া ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ মোট ১৬ মাদক বিক্রেতাকে আটক করেন। অভিযানের সময় ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক পারভীন আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, মাদক বিক্রেতারা একের পর ভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করে মাদক বিক্রি করছেন। আবাসিক এলাকায় ও বাসা বাড়িতে ধনী পরিবারের সন্তানরা মাদক সেবনের পাশাপাশি তারাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন।
‘খ’ সার্কেলের পরিদর্শক মোঃ সাইফুর রহমান রানা এ প্রতিবেদককে বলেন, একাধিক মাদক বিক্রেতাকে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়েছে। আটকের পর আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও এই মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ মাদক বহনের ক্ষেত্রে মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।