খুলনায় পারমিটের বাইরে বিক্রি হচ্ছে সিএস-এফএল মদ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৮-১৮ - ১৯:৩৬

অনুমোদিত (সিএস) সেবনকারীর সংখ্যা ৩ হাজার

কামরুল হোসেন মনি : নগরীতে পারমিটধারীর বাইরে বিক্রি হচ্ছে কান্ট্রি স্প্রীট (সিএস) ও ফরেন লিকার (এফএল) মদ। পারমিটধারী ছাড়া সিএস ও এফএল বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আইন থাকলেও অনেকে তা মানছেন না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ থেকে খুলনা জেলায় ৬টি কান্ট্রি স্প্রীট (সিএস) লাইসেন্সকৃত দেশীয় মদের দোকান রয়েছে। এ সব দোকানে পারমিটধারী সেবনকারীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৬। এর বাইরে ফরেন লিকার (এফএল) পারমিটধারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩টি। এর মধ্যে মুসলিম পারমিটধারী সেবনকারী রয়েছে ১৬২ জন। পারমিটধারী ছাড়াও কান্ট্রি স্প্রীট (সিএস) দেশীয় মদ ও ফরেন লিকার (এফএল) বিক্রির অভিযোগ আছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে।
নগরীর খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালী নামক স্থানে দেশীয় মদ বিক্রির আস্তানায় গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা সেবন করা হচ্ছে। নগরীর বার্মাশীলে দেশীয় মদ বিক্রির পাশাপাশি পারমিটধারী মদ সেবনকারীরা মদ উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছেন। পারমিটধারীরা ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাও সাপ্লাই দিচ্ছেন। এর আগে গত বছরে বার্মাশীলে র‌্যাবের অভিযান পরিচালনা করে কয়েকজনকে আটক করেন। এছাড়া রূপসায় লাইসেন্সকৃত দেশি মদ বিক্রেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, যাদের সেবনকারীর পারমিট রয়েছে তাদের কাছে লাইসেন্সধারী দেশি মদ ও ফরেন লিকার বিক্রেতারা বিক্রি করতে পারবেন। এর বাইরে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে লাইসেন্সকৃত দেশীয় মদ ও ফরেন লিকার দোকানগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভিযানে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্র মতে, ‘ক’ ও ‘খ’ আওতাধীন খুলনা জেলায় দেশীয় মদের দোকান ও ফরেন লিকার বিক্রির পারমিট রয়েছে ৩ জনের। এর মধ্যে ‘ক’ সার্কেলে আওতায় লাইসেন্সকৃত ৩টি দেশীয় মদের দোকানগুলো হচ্ছে রূপসা কাঁচা বাজার, বার্মাশীল রোড ও উপজেলা দাকোপ চালনা বাজারে। এর আওতায় ফরেন লিকার (এফএল) বিক্রির পারমিট রয়েছে খুলনা ক্লাব ও হোটেল ক্যাসল সালামে। ‘খ’ সার্কেল আওতায় লাইসেন্সকৃত ৩টি দেশীয় মদের দোকানগুলো হচ্ছে দৌলতপুর বাজার, খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালী নামক স্থান ও ফুলতলা বাজার। এসব দোকানে পারমিটধারী নন মুসলিম সেবনকারী সংখ্যা ৩ হাজার ৭৬টি। আর ফরেন লিকার পারমিটধারী মুসলিম সেবন সংখ্যা রয়েছে ১৬২ জন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পারমিধারী বাদে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কতিপয় লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশি মদ বিক্রেতা বিক্রি করছেন। এর মধ্যে খালিশপুরে অবস্থিত দেশীয় মদের দোকান ও বার্মাশীলে পারমটিধারী মদ সেবনকারী দেশি মদ উত্তোলন করে এর মধ্যে পানি ও স্প্রীটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রন করে তা বাইরে বিক্রি করছেন। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে পারমিটধারী মদ সেবনকারী ও কতিপয় বিক্রেতা মদ উত্তোলন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বাইরে মদ বিক্রি করছেন।