খুলনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত

প্রকাশঃ ২০১৯-০৪-০৭ - ১৪:৪৪

খুলনা : ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো আজ ারবিবার খুলনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের উদ্যোগে সকালে স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ নাজমুল আহসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ সৈয়দ আহসান রেজভি, এনজিওর প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ মোস্তাক আহমেদ ও এসএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

অতিথিরা বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশে স্বল্প খরচে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এবং বিনামূল্যে ৩৬ প্রকার ঔষধ প্রদানসহ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের জন্য সকলকে কাজ করে যেতে হবে। বক্তারা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে অর্জিত সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভায় জানানো হয়, সরকার বর্তমানে জিডিপির ০ দশমিক ৯২ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ২০০০ সালে ছিলো ৬৫.৩ বছর যা ২০১৭ সালে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা সুবিধা পেয়ে থাকে ৬২.৫ শতাংশ, শিশুর টিকাদানের অর্জন ৯৭ শতাংশ, অত্যাবশ্যর্কীয় ঔষধ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে ৬৫ শতাংশ মানুষকে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০১৭ সালে প্রতি একলাখে ১৭২ জন যা ২০১৫ ছিলো ১৭৬ জন, প্রতি হাজার জনে নবজাতকের মৃত্যু ২০১৫ সালে ছিলো ২০ যা ২০১৭ সালে কমে ১৮.৪ জন। পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি এক হাজার জনে ২০০০ সালে ছিলো ৮৮ জন যা ২০১৭ সালে ৩১ জনে নেমে এসেছে। জাতিংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এর আগে সকালে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকার-বেসরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।