খুলনায় রাজনৈতিক মামলা বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি পুলিশী হয়রানি

প্রকাশঃ ২০১৯-০৫-২০ - ১৫:৪৯

জি এম রাসেল, খুলনা : খুলনায় রাজনৈতিক মামলা বন্ধ হলেও নতুন করে আবারও পুলিশি হয়রানি শুরু হয়েছে। কোন কর্মসূচি না থাকলেও নেতা-কর্মীরা গণগ্রেফতারের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ খুলনা বিএনপি’র। বিএনপি নেতাদের দাবী ঈদকে সামনে রখে পুলিশ বিরোধী নেতা-কর্মীদের টার্গেট করেছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির নগর ও জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়। এসব মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন নিয়েও হয়রানীর শিকার হচ্ছে তারা।
সম্প্রতি খুলনা নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আসলাম ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তাদেরকে আবার গ্রেফতার করলে পরিবারের পক্ষ থেকে জামিনের কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ জানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে।
নগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলায় জামিন নিয়েও নেতা কর্মীরা পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা অমানবিক।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নেতা কর্মীদের নামে যেসব গায়েবী মামলা হয়েছিল সেখানে অপ্সাতনামা আসামী করা হয়েছিল কয়েক হাজার। বর্তমানে ওই সব অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের খুঁজতে পুলিশ আবারও মাঠে নেমেছে। এটা হয়রনীর নতুন কৌশল।’
জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘জেলার নয়টি থানায় অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র না দিয়ে এ মুহুর্তে নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে।’
তিনি জানান, দেশের বাইরে থেকেও মামলায় আসামী হয়েছেন তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের বয়ারগাতি গ্রামের শেখ আশরাফুজ্জামান। দীর্ঘদিন বাড়ীতে না থাকলেও নাশকতার দুটি মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী তিনি। নির্বাচন পরবর্তীতে আশরাফুজামানের বাড়ীতে হামলা হয়েছে। তার পরিবারের অভিযোগ আশরাফুজ্জামান দেশের বাইরে থাকলেও তার নামে মামলা হওয়ায় বাড়িতে বার বার পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশি হয়রানির ব্যাপারে কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, অহেতুক গ্রেফতারের অভিযোগ ঠিক নয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ এ প্রসংগে বলেন, জেলার কোথাও পুলিশী হয়রানির অভিযোগ আমার জানা নেই। অহেতুক কেউ পুলিশি হয়রানীর শিকার হলে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।