খুলনা জেনারেল হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিতের দৌরাতেত্ম অতিষ্ঠ রোগীরা 

প্রকাশঃ ২০১৮-০৯-১৮ - ১৮:৫৮

কামরুল হোসেন মনি : খুলনার নগরীর জেনারেল হাসপাতাল দালালমমুুক্ত  বলে  দাবি করে কর্তৃপক্ষ।  বাস্তবে সারাদিনই অন্যতম  সরকারি ্এ হাসপাতালে বহি: বিভাগ ও জরুরি বিভাগে দিনে রাতে সমানতালে যত্রতত্র  দেখা মেলে ওষুুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের। ওই  হাসপাতালের গাইনী বিভাগে রোগী দেখানো অবস্থায় চিকিৎসকের রুমে ঢুকে পড়ায় মহিলা রোগীরা বিব্রত বোধ করেন।  এদের বিরুদ্ধে কর্তৃৃপক্ষ কোন জরালোা পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনকে দিন বেপরোয়য়া ওয়ে উঠছেন।

সোমবার  (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল  সাড়ে ৮টার পর থেকে এ  প্রতিবেদক ওই হাসপাতালে গাইনী বিভাগে গেলে ওই  সব চিত্র চোখে পড়ে।   দেখা গেছে,  গাইনী বিভাগে মহিলারা প্রসুুতি ও বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা  চিকিৎসাা সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন প্রায়  ১৫০-২০০ রোগী গাইনী বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই  বিভাগে গাইনী মেডিসিন ডাক্তারের রুমে এক মহিলা রোগী থাকার  অবস্থায় বাইরে থেকে  এক ওষুুধ প্রতিনিধি হুট করে ঢুকে পড়েন। রোগীটাও ওই সময়  বিব্র্রতবোধ করছেন। এরপর ফুডসাপ্লিমেন্ট এক ওষুুধ  প্রতিনিধি হুট করে প্রসুতি বিভাগে প্রবেশ  করছেন। এ সময় কর্তব্যরত  চিকিৎসকরাও কিছুই বলেননি।

চিকিৎসা  নিতে আসা রোগী রেহানা পারভিন বলেন, অনেক সময় আমরা এদেরকে মনে করি  কোন ডাক্তার আসছেন।  পরে যখন দেখি  ্এরা ডাক্তারকে কার্ড দিয়ে চলে যাচ্চেন তখন  বুঝতে পারি এরা  কোন চিকিৎসক নন। ডাক্তাররাও কিছুু বলেন  না।  নিজের কাছে লজ্জা লাগে ।

জানা গেছে, ওষু:ধ কোম্পানীর কাছ  থেকে হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসকরা  সাপ্তাহিক, মাসিক একটা  আর্থিক সুবিধা  নিয়ে থাকেন।  যার কারনে  এদেরকে কিছুু বলেন না চিকিৎসকরা।  হাসপাতালে উদ্ধর্তন  কর্র্তৃৃপক্ষ এর  ্একটি  অংশ  পেয়ে থাকেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

গাইনী  বিভাগ  থেকে রোগীরা বের হইলে এক প্রকার জোর করেই ওষুুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা  ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে নেনু। রোগীকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের মধ্যে চলতে থাকলো চিকিৎসক কি ওষুধ লিখেছেন সে আলোচনা। তখন রীতিমত অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই  চিকিৎসা নিতে আসা মহিলা  রোগীদের।

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কব্জা থেকে মুক্তির পর ফাতেমা  বেগম নামে এক রোগী এ প্রতিবেদককে বলেন, এর আগেরবারও এরা এমন আচরণ করেছে। ওদের জন্য আর হাসপাতালেই আসা যাবে না।

এ  ব্যাপারে হাসপাতালের সিভিল সার্জন এ প্রতিবেদককে সোমবার রাতে বলেন, গতপরশু  ডাক্তারদেও সাথে মিটিং করে  নির্দিষ্ট সময়ের ্আগে  তা  আবার সপ্তাহ দুই দিন শনি ও মঙ্গলবার দুুপুর ্একটার  পর ওষুুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা  ভিজিট করতে পারবেন। তবে ওই সময় রোগী থাকে তাহলে  রোগী চেম্বার থেকে বের  হওয়ার পর ভিজিট করবেন।