গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২২

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-৩১ - ১৯:৪১

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জনে।ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা আওয়ামী লীগ আজ থেকে ৩দিন ব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গোপালগঞ্জে অন্যান্য জেলার মত দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব। গত ২৪ ঘন্টায় আজ বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরো ৮ ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।এ নিয়ে জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জনে। এর মধ্যে সদরে ১৫ জন, মুকসুদপুরে ৪ জন এবং টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন।

এদিকে, ডেঙ্গু রোগের প্রাদূর্ভাব কমাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কুমার মন্ডল, ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিসহ সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জরুরী মিটিং এ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল, কলেজ ও সরকারী-বেসরকারী সকল দপ্তরে স্বস্ব উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা শহরের সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করেছে। বাসা বাড়ীর অঙ্গিনাসহ চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, যথাস্থানে ময়লা ফেলার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে।

অপরদিকে, বেশ কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিলেও পৌরসভার মশা নিধনের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বাসা বাড়ীসহ ড্রেনে মাশা নিধনের কোন ঔষধ ছিটানো হয়নি। ফলে মশার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা পৌরবাসী।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় মশা নিধনের পর্যাপ্ত মেশিন নেই। যে চারটি মেশিন রয়েছে তা অকেজো। যে কারনে মশা নিধনের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে ৬টি মেশিন আনা হচ্ছে। সেই সাথে ঢাকা থেকে এক ট্রাক মশা মারার ওষুধ আনা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কুমার মন্ডল বলেন, জেলার সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরনের কোন কীট ছিল না। ঢাকা থেকে ১২০টি কিট পাঠানো হচ্ছে। যা জেলার জন্য অপ্রতুল।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে যাতে কোন ক্লিনিক মালিক ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে নজর দেয়া হবে। সেই সাথে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরসহ বাসা-বাড়ী আঙ্গীনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানান।