গোলাপগঞ্জের চিহ্নিত অপরাধী কুখ্যাত সন্ত্রাসী দিদার এখন কারাগারে

প্রকাশঃ ২০১৭-০৮-০৮ - ২৩:০৭

শাহান ,গোলাপগঞ্জ(সিলেট) প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জের চিহ্নিত অপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী দিদারকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার সিলেট কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে দিদারকে আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জের অন্যতম অপরাধি দিদারকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দিদারের মত একজন অপরাধী ধরা পড়ায় নিজ এলাকা সহ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন স্বস্থি প্রকাশ করছেন। সাংবাদিকদের নিয়ে মানহানীকর কাজে লিপ্ত দিদারকে পুলিশ আটক করে জেলে পাঠালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন মহল থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
উপজেলার পৌর এলাকার রনকেলী নয়াগ্রামের অধিবাসী মৃত মজন আলীর পুত্র দিদার (২৮) গোলাপগঞ্জের একজন চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বেশ ক’টি মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীতে সন্ধ্যায় চৌমুহনীতে প্রকাশ্য দিবালোকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে দৈনিক আমাদের সময় গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর উপর দিদার ও তার অপকর্মের সহযোগিরা হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক মাহবুবের বাম হাত ভেঙ্গে গেলে গুরুতর আহত হন। এ মামলায় সন্ত্রাসী দিদার কিছুদিন জেলে ছিল। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধিন রয়েছে। সম্প্রতি সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর সচিব, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সেক্রেটারী আব্দুল আহাদ কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন বাক্য লিখে ফেইসবুকে তার নিজস্ব আইডি থেকে প্রচার করতে থাকলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এদিকে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর দায়েরকৃত মামলার ধার্য্য তারিখে সন্ত্রাসী দিদার হাজিরা না দেয়ায় মাননীয় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এতে সে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। সন্ত্রাসী দিদারকে ধরতে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ বেশ তৎপর হয়ে সিলেটের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ স্টেশন গুলোতে ম্যাসেজ পাঠায়। গত সোমবার বিকেলে পুলিশ জানতে পারে সন্ত্রাসী দিদার তার অপকর্মের আরও দু’জন সহযোগীকে নিয়ে কদমতলী বাস টার্মিনালের আশপাশে অবস্থান করছে, বিষয়টি বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে তারা তাকে আটক করে। এ সময় পুলিশ তার নাম জিজ্ঞেস করলে দিদার তার নাম গোপন করে বলে সুমন। একপর্যায়ে পুলিশ তার ছবি দেখে নাম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পুলিশের কাছে নাম গোপন রাখার বিষয়টিও ছিল রহস্যজনক। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে অপরাধ করতে গিয়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে সন্ত্রাসী দিদার ছদ্মনাম ব্যবহার করতো। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দিদারকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে গোলাপগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী চিহ্নিত অপরাধী দিদার কারাগারে রয়েছে।