গ্রেনেডের স্প্রিন্টার তারা এখনও বয়ে বেড়ায়

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-২১ - ১১:০৯

ঢাকা অফিস : দুর্বিসহ কষ্টে দিন কাটছে ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলায় হতাহতের পরিবারগুলোর। মাদারীপুরের আহত পাঁচজন এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্রিন্টার। সুচিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন মাদারীপুরের এক নারীসহ ৩ জন। ওই হামলার শিকার শ্রমিকলীগ নেতা নাসির উদ্দিন সর্দারের এই কবরটি অনেকটাই রয়েছে অযত্নে। যার শেষ চিহ্নটুকু মুছে যাচ্ছে সংরক্ষণের অভাবে।

পাঁচ মাস বয়সে বাবা হারানো নাসির উদ্দিনের ছোট ছেলে মুন সর্দার বড় হচ্ছে এক বুক হাহাকার নিয়ে। মুন জানায়, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম আমার বাবা মিটিংয়ে গিয়ে মারা গেছেন। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমি যেন ভালো করে চলতে পারি, বেঁচে থাকতে পারি।’

নিহত নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই রিপন সর্দার বলেন, ‘এই ছেলেটার যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা হয়, আর কবরস্থানটা যেন সংরক্ষণ করা হয়।’

শুধু নাসির উদ্দিনই নয়, এই ঘটনায় নিহত হন একই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহাম্মেদ সান্টু, রাজৈর উপজেলার যুবলীগ নেতা লিটন মুন্সী ও সুফিয়া বেগম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষদের হারিয়ে অসহায় পারিবারগুলো। তাদের দাবি, মুলাদীতে স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটা কিছু করা হোক, যেন আগামী প্রজন্ম তাদের মনে রাখতে পারে।

হতাহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের। মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানান, ‘যারা মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন তাদের যেকোন প্রয়োজনে প্রশাসন সবসময় পাশে আছে। আর্থিকসহ যেকোন প্রয়োজনে আমাদের জানালে আমরা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’