চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ের কান্ডারী হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর

প্রকাশঃ ২০২০-১০-২৯ - ২১:০৮

রিটন দে লিটন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী রাজনীতিতে হেলাল আকবরের চৌধুরী বাবর এর শূন্যতা অনুভব করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।  চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধূরীর সংস্পর্শে থেকে বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর জি-এস নির্বাচিত, ১৯৯৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য এবং ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর উপ-অর্থ সম্পাদক।
হেলাল আকবর চৌধূরীর বাবরের ত্যাগী রাজনৈতিক পরিচয়
১৯৮৯ সালে যখন সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী সহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে জাতীয় নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি–জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসেই জোট সরকারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাডাররা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর পাশবিক নির্যাতন, খুন, গুম, পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি জায়গা দখল সহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চট্টগ্রামে তৎকালীন বিএনপির  মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় নিটুল- ছুট্টু- জসিম- রূপা সহ আরো অনেকে চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে মূর্তিয়মান আতংকে পরিণত হয়েছিল, তখনই বাবর এর নেতৃত্বে নন্দনকানন থেকে ছাত্রলীগ এর একটি অংশ নিটুল- ছুট্টুদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলো। বাবরের বলিষ্ট নেতৃত্বের কারনে সেদিন অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল পুরো চট্টগ্রামের তৃণমূল ছাত্রলীগ।
জানা যায় রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি জামাত জোটের আমলে ৩৭ বার কারা বন্দী হয়েছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তাছাড়া এমনও দিন গেছে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই পরেরদিন সকালে
আবারও গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তবুও বাবর সংগঠনের হাল ছাড়েনি।
বিএনপি জামাত জ্যট বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তিনি। বাবর কোন সময় বিএনপি জামাতের সাথে আতাঁত করেনি বলেই চট্টগ্রামে শিবিরের দূর্গখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে জামাত শিবিরের শক্তিশালী ঘাটি ভেঙ্গে দিয়ে শিবির সন্ত্রাসীদের বিতারিত করতে সক্ষম হওয়ার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর।
এদিকে সাম্প্রতিককালে নগরীর সি আর বি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনা ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে আসামী করা হলেও  পিবিআই তদন্তে মামলার চার্জশীটে স্পষ্ট বলেছেন এ ঘটনায় বাবর জড়িত নয়, এবং তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেবার জন্য সুপারিশ করেছেন। ওই ঘটনা বাবর দলীয় কোন্দলের বলি হয়েছিলেন।
খোজ নিয়ে জানাগেছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অতীত থেকে যারা বিএনপি জামাতকে সাহায্য করে এসেছে তাদের কথা বলতে সবাই ভয় পায়, কারণ আওয়ামীলীগ এর রাজনীতিতে তাদের অতীত ইতিহাস স্বচ্ছ নয়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগনেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ২১ বছর আওয়ামীলীগ বা তার অংগ সংগঠনের যে সব নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিলো তারা এমন কেউ কি আছেন? আমি বলবো যারা ঐ সময় মামলা হামলার স্বীকার হয়নি তারা মায়ের বুকে ঘুমিয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের  রাজপথে যারা নেতা নামে পরিচিত তারা বাবর বা তার বন্ধুদের মতো কতটুকু ত্যাগ দিয়েছেন? সেই সব দিনগুলোতে খেয়ে না খেয়ে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশমতো আমি বাবর নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। বিএনপি জামাত এর সাথে লিয়াঁজু করি নাই করবো না।

সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন,ব্যাক্তি স্বার্থে যে জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন করছে, যার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, তারা বাবরকে নিজের স্বার্থহাসিলের জন্য সন্ত্রাসী বলে। রাজনৈতিকভাবে যারা মামলার আসামী তারা সন্ত্রাসী কি করে হয় তাতো বুঝিনা?
রাজনীতি করতে গিয়ে বাবর বা তার বন্ধুরা বারবার জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন,তাদের কারো বাপ দাদার ভিটা মাটি উদ্ধার করতে রাজপথে গিয়ে মামলা হামলার স্বীকার হয়নি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে, এবং মামলার স্বীকার হতে হয়েছে। বাবরের রাজনীতি শুরু হয়েছে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর হাত ধরে। আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে বাবর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর একান্ত বিশ্বস্ত কর্মী হিসাবে প্রমানিত ও পরিচিত।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান অপ্রিয় হলেও সত্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেকেই বাবরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। যাহা বর্তমানে সুবিধাভোগী রাজনীতিবিদদের নিকট হতে কাম্য নয়।