চট্টগ্রাম নগরীতে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি; ৩ ফার্মেসিকে জরিমানা

প্রকাশঃ ২০২০-১১-০৯ - ০০:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিত্য জরুরি পণ্য ও অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে মানসম্মত ও সঠিক ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ধারাবাহিকতার সাথে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ লালখান বাজারের চানমারী রোডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৩ টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানীর ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্যাম্পল ও বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ বিনষ্ট করা হবে।

আজ রবিবার ০৮ নভেম্বর সকাল ১১ টা হতে দুপুর ১ টা পর্যন্ত লালখান বাজারের চানমারী রোডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উক্ত মোবাইল কোর্টে ঔষধ প্রশাসন এর ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মোঃ কামরুল হাসান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান জানান, আজকের অভিযানে প্রথমে মেসার্স পপুলার মেডিসিন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ঔষধের প্যাকেটের মধ্যে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল রেখে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ আছে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা যাবে না। তারা এইভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও বিপুল পরিমানে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে ঔষধ আইন অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, অপরদিকে একই এলাকায় অবস্থিত মাঝুরী মেডিসিন এ গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে লাইসেন্স গ্রহণ করলেও পাইকারী কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই পরিচালনা করছে, এছাড়াও ঔষধ রিজার্ভের জন্য দুইটি আলাদা গুদাম রয়েছে। গুদামের জন্য ঔষধ প্রশাসন এর কোনো অনুমতি প্রতিষ্ঠানটি নেয়নি। উল্লেখ্য, খুচরা কার্যক্রমের জন্য সরকারকে ৯০০ টাকা বার্ষিক রাজস্ব দিতে হয় এবং পাইকারী কার্যক্রমের জন্য ১০,০০০ টাকা রাজস্ব দিতে হয়। মূলত রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই খুচরা বিক্রির লাইসেন্স গ্রহণ করেও পাইকারী বিক্রি করছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশী অননুমোদিত ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে ঔষধ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে আলম মেডিকেয়ারে গিয়ে দেখা যায়, লাইসেন্স ব্যতীত প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা কর হয় এবং লাইসেন্স করার জন্য ২০ দিন সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়।

জনস্বার্থে ভেজাল ঔষধ, বিদেশী অননুমোদিত ঔষধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান।