চট্টগ্রাম নগরীর খাল পরিষ্কার নামলেন প্রশাসক সুজন

প্রকাশঃ ২০২০-১১-০৪ - ২১:২৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বজ্রপাত, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে খবর আসে বাকলিয়ার ইছহাকের পুলে বর্জ্য-আগাছায় পানি আটকে আছে। খবর শুনেই চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ছুটে যান পুলের দিকে।

 পুলের নিচে ওয়াসার সংযোগ লাইনের দুটি বড় লোহার পাইপ দেখতে পান। যার সঙ্গে বড় বড় কচুরিপানা, ঘাস, বিভিন্ন আগাছা, লতা-গুল্ম আটকে খালের পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। চসিকের শতাধিক শ্রমিকসহ নিজে নেমে পড়েন আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে। দীর্ঘদিনের জঞ্জাল সরাতেই দেখা যায় কালো পানি।

পাইপ সরিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে ওয়াসার প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল থেকে ফোনও করেন সুজন।

বুধবার (৪ নভেম্বর) বাকলিয়ায় এমন ঘটনা দেখা গেছে।

মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সুজন বলেন, চাক্তাই-মহেশখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। করপোরেশন মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে পরিষ্কার হওয়া খাল-নালায় কোনো ময়লা, আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

নগরবাসীকে পলিথিন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পলিথিনের কারণে আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। পলিথিন ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প ব্যবসার পথ খুঁজতে বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মশা বংশ বিস্তার করে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এডিশ মশা ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি, রেফ্রিজারেটরের পানি ও ছাদের কর্নিশে জমা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এডিশ মশার প্রজনন ধ্বংসে আমাদের নিজ বাসা-বাড়ি, আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার প্রজনন ধ্বংসে আমরা পরিবেশবান্ধব ওষুধ ছিটানোর কথা ভাবছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শমতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, তেমন ওষুধ ছিটাতে হবে। আমরা এখন তা নিয়ে ভাবছি। নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

সাবেক মেয়রের নাছিরের করোনামুক্তির জন্য মিলাদ

চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের করোনামুক্তি কামনায় এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন  করেন চসিক প্রশাসক সুজন। বুধবার নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপুসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। মোনাজাত পরিচালনা করেন শেখ ফরিদ (র.) চসিক জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম মাওলানা আবদুর রহমান।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে বুধবার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অভিযানকালে পাহাড়তলী থানার সাগরিকা রোডের উভয় পাশের ফুটপাত ও নালা অবৈধভাবে দখল করে লোহার দোকানের মালামাল স্তূপ করে রাখে এবং অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় স্থাপনাসহ সাগরিকা রোডের অবৈধ কাচাঁবাজার উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় ফুটপাত ও নালার জায়গা অবৈধ দখল করে লোহার পাইপসহ বিভিন্ন পণ্য স্তূপ করার দায়ে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পৃথক অভিযানে বাকলিয়া থানাধীন বির্জা খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ব্রিজের অবশিষ্টাংশ অপসারণ করা হয়।