জমে উঠেছে দাকোপে আঁচাভূয়া বাজার সমিতির নির্বাচন

প্রকাশঃ ২০২০-০১-২৪ - ১৩:৩৩

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ: আগামী ২৭ জানুয়ারী ভোট গ্রহনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চালনার আঁচাভুয়া ডাকবাংলো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন। সমগ্র বাজার এলাকা ছেয়ে গেছে পোষ্টারে পোষ্টারে। অব্যহত আছে মাইকিংয়ের প্রচারনা। ৯ পদের বিপরীতে ১৯ প্রার্থী লিফলেট হাতে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে দিনরাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
আগামী ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দাকোপ উপজেলা সদর চালনার ঐতিহ্যবাহী আচাভূয়া ডাকবাংলো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা সমবায় দপ্তরের সহকারী পরিদর্শক লস্কর সাহাবুর রহমান জানায়, ৯ টি পদের বিপরীতে মোট ১৯ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় আছে। সভাপতি পদে আনারস প্রতীক নিয়ে আলহাজ্ব সরদার আবুল হোসেনের প্রতিদ্বন্দি হরিণ প্রতিকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর মোল্যা। সহসভাপতি ১ টি পদের বিপরীতে মনোরঞ্জন বাহাদুর (গাভী), মাহবুবুর রহমান (দোয়াত কলম) এবং শহিদুল ইসলাম খোকন (হাঁস) প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ ওসমান গণি (কাঁপপিরিচ), মোঃ কামরুল হোসেন (টেলিভিশন) এবং শাহজাহান শেখ (বাই সাইকেল) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে আনিসুর রহমান তোরবারি), কাজী ইকরামুল কবীর পান্না (তালাচাবি) এবং মোঃ ফরিদ আলী (জাহাজ)। সদস্যের ৫ টি পদের বিপরীতে আসিফ ইকবাল টিটু (আম), মোঃ কামাল গাজী (মাছ), আব্দুল গফুর সরদার (মই), জলিল মিয়া (ফুটবল), পিতর মিস্ত্রী (কলস), মোশারফ হোসেন লিমন মোরগ), লাভলু গাজী (পাখা) এবং মোঃ শাহাদাত হোসেন (টেবিল) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদিকে ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে প্রচার প্রচারনা আলোচনা উত্তাপ ততই যেন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ভোটারদের পরিবার স্বজনদের খুশী করতে ছুটছেন তাদের বাড়ী বাড়ী। দিনরাত চায়ের ষ্টলগুলো নির্বাচনী আলোচনায় জমজমাট। নির্বাচন এতটাই জমে উঠেছে যে কোন পদে ঠিক কে বিজয়ি হতে যাচ্ছে এই মূহুর্তে সেটা ধারনা করা যাচ্ছেনা। আনারস প্রতিকের সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হোসেন সরদার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটাররা এখন আর আবেগে ভোট দিবেনা, তারা সচেতন। তিনি বলেন এই বাজার সৃষ্টিতে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলাম যেটা তৎকালীন সময়ের ব্যবসায়ীরা জানে। বিগত ২০০৭ সালে দেশে জরুরী অবস্থার সময় বাজার ভাংচুর ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীরা যখন চরম হতাশ ছিল তখন আমি কিছু শুভাকাংখির সহযোগীতায় নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের পক্ষে রুখে দাড়িয়েছিলাম। মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় আমি আইনী প্রক্রিয়ায় সেদিন সফল না হলে আজকের বাজার যেমন এভাবে থাকতোনা, ঠিক তেমনি আমিও হয়ত নানাভাবে হয়রানী ক্ষতির শিকার হতাম। নিশ্চয় ভোটাররা বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। তাছাড়া সমিতি পরিচালনায় সার্বক্ষনিক সময় দেওয়া প্রয়োজন যেটা আমার পক্ষে সম্ভব। অপরদিকে হরিণ প্রতিকের প্রার্থী জাহাঙ্গির মোল্যার মন্তব্য নেওয়ার জন্য একাধীকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তিনিও ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জোর প্রচারনায় মাঠে আছেন। তার সমর্থকরা হরিণের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সাধারণ সম্পাদকে কাঁপপিরিচ প্রতিকে কেন ভোটের আশা করছেন এমন প্রশ্নে প্রার্থী ওসমান গনি বলেন, সমিতি পরিচালনায় একজন সৎ যোগ্য প্রার্থীর বিকল্প নেই, যে বিবেচনায় আমি আশাবাদী। বিজয়ি হলে তিনি এই সমিতিকে একটি স্বচ্ছ জবাবদিহি মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই পদের টেলিভিশন প্রতিকের কামরুল হোসেন বলেন, বাজার এবং সমিতির উন্নয়নের স্বার্থেই আমাকে ভোট দিবে বলে আশাবাদী। তিনি বিজয়ি হলে সমগ্র বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্পাদকে অপর প্রতিদ্বন্দি বাই সাইকেল প্রতিকের শাহাজান শেখ বলেন, ভোটাররা ভালবেসেই আমাকে ভোট দিবে। তিনি অতীতে বাজারে সার্বক্ষনিক সময় দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচীত হলে বাজার এবং সমিতির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো।