টাওয়ার স্থাপনের নামে বাঁধ কেটে ঘের মালিকের ৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন

প্রকাশঃ ২০১৯-০২-২২ - ২১:০২

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা গ্রামের একটি চিংড়ি মাছের ঘেরের ভেঁড়ী বাঁধ কেটে দেয়ায় ওই ঘের মালিকের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ঘের মালিক রামপাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘের মালিক শিব শংকর বিশ্বাস রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের হুড়কা গ্রামের মৃতঃ ক্ষিরোদ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। ক্ষতিগ্রস্থ ঘের মালিক শিব শংকর বিশ্বাসের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১৩২ কেভি ডাবল ক্যাবল সার্কিট সঞ্চালন বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের কথা বলে কেউকে কোন কিছু না জানিয়েই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সুপারভাইজার মো: রাসেল বুধবার রাতের আধারে শিব শংকরের মাছের ঘেরের বাঁধ কেটে দেয়। এতে ঘেরে থাকা বাগদা, গলদা, ফাইসা ও রুই মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পানি শুকিয়ে মাছ মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ঘের মালিক শিব শংকর বলেন, তার দেয়া জমির উপর ইতিমধ্যে একটি বিদ্যুৎতের টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার জমির উপর নতুন করে আর কোন টাওয়ার স্থাপন করা হবে না বলে আশ্বাস দেন সুপারভাইজার রাসেল। কিন্তু তার অপর খন্ডের জমির উপর আরো একটি টাওয়ার বসানোর জন্য রাতের আধারে তার ঘেরের বাঁধ কেটে পানি সরিয়ে দিয়েছে রাসেল। এলাকার অন্য লোকজনদেরকেও কিছু না জানিয়ে তার (রাসেল) ইচ্ছামত খামখেয়ালীপনাভাবে টাওয়ার স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোতে অনেকেই রাসেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ঠিকাদারের সুপারভাইজার মো: রাসেল বলেন, রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেই বাঁধ কেটেছি। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাসেলকে কেন অন্যের ঘের কেটে দিতে বলবো, ঘের কেটে দিতে বলার প্রশ্নই আসেনা। বিষয়টি আমি খুব গুরুত্বের সাথে দেখছি। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই মো: তকিবুর শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়কে থানা আসার জন্য বলে এসেছেন।