ঠাকুরগাঁওয়ে দুই বাংলার মিলন মেলা

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-১৫ - ২১:১৬

জয় মহন্ত অলক ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল জগদল সীমান্তের ৩৭৩ ও ধর্মগড় ৩৭৪ হরিপুরের ৩৬৮ থেকে ৩৭১ পিলারের কাছে নাগরভিটা নদীর তীরে বসেছিল দু’বাংলার হাজারো মানুষের মিলন মেলা।

রোববার দুপুর ১২ টার পর থেকে দিন ব্যাপি চলে এ মিলন মেলা।

এজন্য ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর এবং ভারতের কোচবিহার, আসাম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রো, মিনিবাসযোগে হাজারো মানুষ সীমান্তে হাজির হয়।এরপর চলে প্রতীক্ষার প্রহর।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এসে জড়ো হন সীমান্তে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা মানুষজন একে অপরের সঙ্গে মিলিত হবার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বলে ছুটে আসে স্বজনদের টানে।

প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম দিকে বসে এ মিলন মেলা।

সারা বছর দু’বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে এই দিনটির জন্য। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগে থেকেই জানিয়ে দেয় স্বজনরা। কে কোথায় দেখা করবে। এই মিলন মেলায় দু’বাংলার লাখো মানুষ মিলিত হয়ে সেরে নেন স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়ের পালা।

রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাস্টার বলেন, ১৯৭৪ সালে পর উপজেলার সীমান্ত এলাকা পাক-ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল। এ কারণে দেশ বিভাগের পর আত্মীয়স্বজনেরা দু’দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সারা বছর কেউ কারো সাথে দেখা করতে না পারায় এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে।