ডুমুরিয়ার দুই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচেন জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণার

প্রকাশঃ ২০২০-১০-০৭ - ২০:৪৫

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের মেয়াদ কাল স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কমতি নেই প্রচার-প্রচারণা। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নিয়ে এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আর প্রার্থীরাও তাদের কর্মী-সমার্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
জানা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর এই দুই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মৃত্যু জনিত কারণে সরকারি বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন কমিশন। সকল আয়োজন শেষে আগামী ২০শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহন। আবার এর কিছুদিন পরে অর্থাৎ আগামী বছরের মার্চে শেষ হতে যাচ্ছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পূর্ণ মেয়াদ কাল। ফলে দেখা যাচ্ছে, এই উপ-নির্বাচনে বিজয়ী প্রতিনিধির মেয়াদ কাল হবে স্বল্প সময়ের জন্য। তিনি হয়তঃ প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন তিন থেকে চার মাস। কিন্তু এই প্রতিনিধিত্ব অল্প সময়ের জন্য হলেও থেমে নেই প্রার্থীরা। কর্মী-সমার্থকদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্চেন প্রচার-প্রচারণা। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
জানা গেছে, দুই ওয়ার্ডে প্রার্থী হলেন ৬ জন। এরমধ্যে দুই নম্বর ওয়ার্ডে মধুসুধন বিশ্বাস (মোরগ), সঞ্জয় মন্ডল (তালা) ও অনিতেষ বিশ্বাস মিলন (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা হল ২৩’শ। আর তিন নম্বর ওয়ার্ডে তুষার মল্লিক (ফুটবল), উত্তম হালদার (মোরগ) ও শরিফুল ইসলাম (তালা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা হল ১৭’শ ৫৪জন।
শুরুতে এই নির্বাচনে তেমন সোরগোল দেখা না গেলেও বর্তমানে উঠেছে তুমুল ঝড়। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। চার মাস নয়, একদিনের জন্য হলেও এ নির্বাচনে বিজয়ী হতে মরিয়া সকলেই। তাই তো বসে নেই প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমার্থকরা। ভোর সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনায় ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
সরেজমিনে দুই ওয়ার্ডেই ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। চা’র দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা জুড়েই চলছে নির্বাচনী আলোচনা। দলে দলে লোকজন ছুটে চলেছেন এ’পাড়া থেকে ও’পাড়ায়। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন তারা। তবে এখনো মুখ খুলছেন না ভোটাররা। ওয়ার্ডের যোগ্য প্রতিনিধি খুঁজতে করছেন চুলচেরা হিসাব নিকাশ। এলাকার উন্নয়ন, সামাজিক সম্পর্ক, খেলাধুলা-সংস্কৃতি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত সবাই। এইদিক গুলো ঠিক রাখলে হয়তঃ তিনিই হবেন বিজয়ী এমনটিই মিলেছে আভাস।