ডুমুরিয়ার সাহস গজেন্দ্রপুরে নির্বাচনকে ঘিরে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২১-০১-০৩ - ২০:০৪

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে চলছে কাদা ছুড়াছুড়ি। ইতোমধ্যে পরস্পরের মধ্যে বিরুদ্ধে করা হয়েছে অভিযোগ।
জানা গেছে, উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জহুরুল হক। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তার পরিবর্তে ছেলে নাজির শেখ হতে যাচ্ছেন সম্ভব্য প্রার্থী। ইতোমধ্যে নাজির শেখ ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দিয়েছেন শুভেচ্ছা প্যানা। এরই মধ্যে দক্ষিণ গজেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শেখ প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। তিনিও প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েছেন প্যানা। তবে তার ঘোষণার পরে শুরু হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে রেশারেশি। বর্তমানে পরস্পরের মধ্যে দোষ-ত্রুটি নিয়েই এলাকাটির অবস্থা উত্তাল। এরই মধ্যে স্কুলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ শেখের বিরুদ্ধে স্কুল মেরামতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা হয়েছে অভিযোগ। বরাদ্দের দুই লাখ টাকার মধ্যে নামমাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম করেছেন তদন্ত কার্যক্রম। এবার অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষ নাজির শেখের সমার্থক শরিফ মোল্ল্যার বিরুদ্ধে উঠেছে উল্টো অভিযোগ। জানা গেছে, এই শরিফ মোল্ল্যা ২০১৪ সালে নুতন কুড়ি সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি লিমিটেড মাইক্রো ক্রেডিট (ট্রেড) কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু এই সমিতিটির সরকারি ভাবে কোন প্রকারের অনুমতিপত্র নেই। উচ্চ ও চড়া সুদে এলাকার গরীব ও সাধারণ মানুষের নিকটে ঋণ দিয়ে চালিয়ে আসছে কার্যক্রম। বর্তমানে দু’পক্ষের কর্মী-সমার্থকরা এই দুই অভিযোগ নিয়েই পরস্পরের মধ্যে করছে কাদা ছুড়াছুড়ি।
এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াদুদ শেখ জানান, দক্ষিণ গজেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আমি। অবসরে যাওয়ার পরে স্থানীয়রা আমাকে ওই প্রতিষ্টানের সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি জোর করে বলতে পারি-স্কুল থেকে আমি একটি টাকাও আত্মসাৎ করিনি। শুধু ভোটে দাড়াতে চেয়েছি বলেই ওরা আমার বিরুদ্ধে দোষ-নিন্দা রটাচ্ছে।
ওদিকে শরিফ মোল্ল্যা জানান, ১৪’সালে গ্রামের মানুষদের সাথে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করেছিলাম। পরে অনেক জটিলতার কারণে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ শুধুমাত্র অতীতে যাদের কাছে টাকা দেওয়া ছিল সেই টাকাগুলো ক্লোজ করছি।