ডুমুরিয়ায় অসহায় পরিবারের মেয়ের সুখের সংসার ভাঙ্গা চেষ্টা

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-২৭ - ১৪:০২

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডমুরিয়ায় অসহায় পরিবারেরএকমাত্র মেয়ের সুখের সংসার ভাঙ্গা চেষ্টায় বগুড়ার এক নেশাখোরফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে হয়রানী করছে। এর প্রতিবাদে তিনি তার পিতামাতাকে নিয়ে পিতার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার আরশনগর গ্রামের আব্দুল হামিদ সরদারের কন্যা আয়েশা আইরিন মুন্নি (২৫) সোমবার বেলা ২টার দিকে তারলিখিত অভিযোগে বলেন,এখান দু‘বছর আগে তিনি ফ্লাক্রিলোডের দোকান থেকে ২০টাকা নয়,(পত্রিকায় দেয়া হয়েছে২০টাকা) তার নম্বরে ৪৯টাকা রিচার্জ করেন। কিন্তু লোডের দোকানদার তার নম্বর লিখতে গিয়ে ভুলবশতঃ একটি সংখ্যাপরিবর্তন হয়ে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পাঁচদে ওলী গ্রামের মৃত আবির হোসেনের পুত্র ফিরোজ হোসেন বকুল (৫৫) এর নম্বরে চলে যায়। তখন তিনি ঐ নম্বরটি লোডের দোকান থেকে মুন্নী নিয়ে মোবাইল করে টাকা ভুল নম্বরে টাকা যাওয়ায় কথা জানতে চাইলে তিনি তা স্বীকার করে টাকাটি ফেরত দেন। এর ৪/৫ দিন পর ঐ নম্বরথেকে তার নম্বরে কল আসে। এভাবে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়েতাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ে বকুল বলেন, তিনি অবিবাহিত এবং তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়েন। ঘটনাক্রমে বকুল তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। এ সময় মুন্নিতার পিতা মাতার সাথে কথা বলে ছোট ভাই মিলনকে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য বকুলের বাড়িতে পাঠান। কিন্তু সুচতুর বকুল তার ভাই মিলনকে বাড়িতে না নিয়ে বগুড়ার একটি হোটেল থেকে ভাত খাওয়ায়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মিলন বাড়িতে এসে বকুলে রবয়স,প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকা এবং তার সাথে খারাপ আচরণের কথা পরিবারকে জানায়। তখন মু্িধসঢ়;ন্ন বকুলের কাছে ফোন করে তাকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণ জানতে চাই। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তিনি বকুলের নম্বরে মোবাইল করা মাত্রই ফোনটি বকুলের স্ত্রী রিসিভ করেন। কথা বলার এক পর্যায়ে মুন্নী জানতে পারেন বকুল পূর্বে ২টি বিবাহ করেছে। তার ১ছেলে ও ২মেয়ে আছে। তিনি একজন মাদকাসক্ত মাতাল ব্যক্তি। বড় মেয়ে বিবাহিত,ছোট মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে ও ছেলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সেই থেকে তিনি বকুলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এরপর প্রায় ৮মাস আগে পারিবারিকভাবে তার বিবাহ হয়। লেখাপড়া শেষ করে স্বামীকে নিয়ে সুখেই আছেন (রেজিষ্ট্রি বিবাহের মূল কপি আছে)। তিনি আরও বলেন,বকুলের সাথে কোনদিন তার দেখা সাক্ষাত হয়নি। তিনি কিভাবে তাকে সোনার গহনা,কলেজে ভর্তি,লেখাপড়ার খরচ ও মোবাইল কিনে দিলেন ? যার সাথে কোনদিন দেখা সাক্ষাত হল না,সে কিভাবে তাকে এগুলো দিলেন,নাকি বাতাসের মাধ্যমে তার কাছে উক্ত জিনিস পত্র পৌছে দিলেন এটাই তার প্রশ্ন ? মুলত্র তার মামা রনি সাথে করে নিয়ে তার পিতার টাকায় খুলনা সিটি কলেজে ভর্তি করে দিয়ে আসেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার ভাইয়ের জন্য পিত্ধসঢ়;া পাটকেলঘাটা বাজারের মেসার্স এস এম টেলিকম মোস্তফা সরোয়ার মিন্টুর দোকান থেকে ক্রয় করেন (যার মূলকপি আছে)। তাছাড়া বকুলের ভরি ভরি সোনা তো দূরের কথা এক আনা সোনা কাউকে দেয়ার সামর্থ্য আছে বলে তার মনে হয় না। তিনি বলেন,যার সাথে কোনদিন দেখা সাক্ষাত হল না তার সাথে কিভাবে বিবাহ হল এটা একটা হাস্যকর বিষয়। তিনি কোন দিন বিবাহের সঠিক কোন কাগজ দেখাতে পারবেন না। মুন্নি বলেন,যদি তিনি বিবাহের কাগজ নিয়ে চলে আসেন। তাহলে তার প্রশ্ন বকুল কোট থেকে এফিডেভিটের আরও একটি কাগজ তুলে দেখাক? তাছাড়া তিনি তার মেয়ের বয়সী হয়ে কিভাবে পিতার চেয়ে বেশী বয়সী একজন লোককে বিবাহ করবেন। কিন্তু প্রায় ১বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর গত ৪/৫দিন ধরে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে নেশাখোর মাতাল বকুল তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মানুষিকভাবে হয়রানী,সমাজে তাদের মানহানী,তার সুখের সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন। তাই তিনি আগামী ১/২দিনের মধ্যেই তার পরিবারকে নিয়ে এই তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার পিতা আব্দুল হামিদ সরদার,মাতা রনজিদা বেগম,ভাই মিলন সরদার প্রমুখ।