ডুমুরিয়ায় আশ্রয়ণ প্রজেক্ট “যার জমিও নেই-ঘরও নেই” নির্মাণ কাজ চলমান

প্রকাশঃ ২০২১-০১-০২ - ১৫:০৮

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় এগিয়ে চলেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রজেক্টের গৃহ নির্মাণ কাজ। “যার জমিও নেই-ঘরও নেই” সমাজের এই পর্যায়ের মানুষরা পাবেন এই ঘর। প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রজেক্টের আওতায় ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গৃহ মির্নাণ কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে আটলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলা বাজার সংলগ্ন চর-ভরাটি সরকারি সম্পত্তিতে ৬৭টি, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের খুকড়া রামকৃষ্ণপুর এলাকায় ৬৯টি, সাহস ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ৪টিসহ মোট ১৪০টি গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ঘরে থাকবে দুইটি কক্ষ, বারান্দা, টয়লেট ব্যবস্থাসহ রান্নার জায়গা। প্রতিটি ঘরের আয়াতন হবে সমপরিমানের। যার মেঝে-দেওয়াল হবে ইটের পাকা গাঁথা ও ছাউনি হবে টিনের।
এ প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রজেক্ট’ যার জমিও নেই-ঘরও নেই। এই প্রকল্পের প্রথম ফেজে ডুমুরিয়ায় ১৪০টি গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। একযোগে উপজেলার কাঁঠালতলা, রামকৃষ্ণপুর ও সাহসের গুচ্চগ্রামে এর নির্মাণ কাজ চলছে। আর এ কাজ দ্রুত সম্পন্নের জন্য অনেক জনবল নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রকল্প সভাপতি ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রজেক্ট’র নির্মাণ কাজটি আমরা দ্রুত ভাবে করছি। খুলনা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দশনা মতে এই জানুয়ারির মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়াও উপজেলার শরাফপুর, ধামালিয়া, ভান্ডারপাড়া ও শোভনা এলাকায় সরকারি খাস সম্পত্তি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। জায়গা পেলে পরবর্তী পর্যায়ে আরও ঘর নির্মাণের সুযোগ হবে। তবে এ পর্যায়ে উপজেলার ১৪০জন গৃহহীন মানুষ পাবেন তাদের আশ্রয়।
সাবেক মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র লক্ষ্য ও স্বপ্ন ছিল-কোন মানুষই যেন গৃহহীন না থাকে, সকলের জন্য যেন একটু মাথা গোজার ঠাই থাকে। যা আজ তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন। আমাদের ডুমুরিয়ায় প্রথম অবস্থায় ১৪০ জন অসহায় মানুষ ঘর পেতে যাচ্ছে।