ডুমুরিয়ায় গৃহবধু’কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২০-১১-১৮ - ১৭:২৯

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলার দেডুলি গ্রামে এক গৃহবধ’ুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে স্বামী-শ্বশুরসহ অন্যরা। থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে লাশের সুরোতহাল রির্পোট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে যার নং-৬০।
পুলিশ ও স্বজনদের সুত্রে জানা গেছে, প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে মিজান-এ্যানি। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। স্বামীর অন্যত্র প্রেম, যৌতুকের চাপ ও অমানুসিক নির্যাতনে মরতে হয়েছে এ্যানী’র। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে মৃত এ্যানি’র বাবা রুদাঘরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক সরদার বলেন, এ্যানী’র (২০) সাথে একই উপজেলার দেড়ুলি গ্রামের শহীদ শেখের ছেলে লিটন শেখের (মিজান) বিবাহ হয়। কিছু দিন যেতে না যেতেই মিজান টাকা চাওয়া শুরু করে। আমিও মেয়ের সুখের কথা ভেবে সাধ্যমত টাকা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু দিনে দিনে তার মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। যা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু মিজান তখন টাকা না পেয়ে হয়ে যায় অন্য রকমের। কারণে অকারণে মারধোর করতো এ্যানীকে। কোন সময়ের জন্য ভাল ব্যবহার করতো না। সংসারের কেনা-কাটা, বাজার-ঘাট সবকিছু বন্ধ করে দিতো। আবার আমি টাকা দিলে ভালো হয়ে যেত। তাদের সংসারে ফয়সাল হোসেন রাজ’র (৮মাস) নামের একটি সন্তানও জন্ম হয়েছিল। তাই তো ছেলে রাজ’র মুখ পানে চেয়েই সবকিছু নীরবে সহ্য করতো এ্যানী। এরই মধ্যে মিজান গোপনে এক নার্সের সাথে গড়ে ওঠে প্রেমজ সম্পর্ক। যা জেনে ফেলে এ্যানী। আর এই নিয়েই তাদের মধ্যে চলে কলহ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে এ্যানিকে মেরে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে আমরা রাতে গিয়ে দেখি এ্যানির দেহ উঠানে পড়ে আছে। আর বাড়িতে কেউ নেই। আমি নিশ্চিত মিজান ও তার বাবা শহীদসহ তার পরিবারের লোকজন এ্যানীকে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জনের খবর শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমরা প্রাথমিক ভাবে লাশের সুরোতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে যার নং-৬০। তবে স্বামী মিজান ও শ্বশুর শহীদ শেখসহ অন্যরা গা ঢাকা দেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি রহস্যজনক।