ডুমুরিয়ায় স্কুল শিক্ষক চাঁদাবাজির শিকার

প্রকাশঃ ২০২০-০৯-০৩ - ১৭:১৯

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়ায় মিথ্যা কেলেংকারিতে জড়িয়ে এক স্কুল শিক্ষকের নিকট থেকে নগদ টাকা ও ব্যাংক চেক হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬জনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানা একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের হাজিডাঙ্গা গ্রামের মৃত চন্দ্রকান্ত মন্ডলের ছেলে শেখর চন্দ্র মন্ডল। তিনি হাজিডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। কয়েক দিন ধরে কতিপয় যুবকরা মুঠোফোনের মাধ্যমে তারই এক ছাত্রীকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর অভিযোগ তুলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। কিন্তু শিক্ষক শেখর মন্ডল তাদের কথায় কান না দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে থাকেন। হঠাৎ করে গত ৩১ আগস্ট সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই ছাত্রী কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার বাসায় আসেন। কিছুক্ষণ পরে ৮/৯ জনের সেই যুবক দল ওই বাসায় ঢুকে পড়ে। আর ঢুকেই শুরু করে তোলপাড়। অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ মুহুর্তের মধ্যে কোমর থেকে হাতুড়ি, লোহার রড বেরিয়ে চালায় বেধড়ক মারপিট। চিৎকারে পাশের বাসার লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদেরকে হুমকি দিয়ে দুরে যেতে বলেন ওই যুবকরা। এরপর দরজা-জানালা বন্ধ করে শুরু করেন দেন-দরবার। এ সময় শিক্ষক শেখর মন্ডল ও তার স্ত্রী তৃপ্তি রানী ভয়ে তাদের চাপানো সকল অভিযোগ মেনে নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের হাতে তুলে দেন নগদ ৬০ হাজার ও দুই লাখ টাকার পুবালি ব্যাংকের চেক।
এ বিষয়ে শিক্ষক শেখর চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমি ইংরেজির শিক্ষক হওয়ায় ওই ছাত্রী প্রায় আমার বাসায় আসতো। এই নিয়ে কতিপয় যুবক আমার মোবাইলে কল করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখে। হঠাৎ করে ওই ছাত্রী আমার বাসায় এলে তার পিছে পিছে এনামুল, পলাশ, লিটন গাজী, আছাদ জোয়ার্দার, নাইম হোসেন ও সোহানসহ ৮/৯ জন ঢুকে আমার স্ত্রীর সামনে আমাকে অপমান মুলক কথা বলে কোমর থেকে হাতুড়ি ও লোহার রড বেরিয়ে মারপিট শুরু করে। এরপর তাদের ধার্য্যকৃত চাঁদা থেকে রেহাই পেতে অনেক দেন-দরবার ও অনুরোধ করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও দুই লাখ টাকার একটি চেক দিয়ে রক্ষা পাই।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বে-আইনী ভাবে একজন শিক্ষকের ঘরে ঢুকে তাকে মারপিট, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাঁদা গ্রহন ও জোর করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে যার নং-০২। অভিযুক্ত আসামীরা সবাই পলাতক এবং আটক অভিযান অব্যাহত আছে।