ডেঙ্গু জ্বরে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-০১ - ১৬:১৪

ঢাকা অফিস : রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৯০৩ জন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন ও সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে একজন এবং হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।এতে, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।

বৃহস্পতিবার সকালে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন রোগীরা। হাসপাতালটিতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩১২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন রোগী। এছাড়াও পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন ১৬৫ জন, যাদের মধ্যে ১১৮ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

এদিকে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল একশ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩২৮ জন। এখানে, গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮৫ জন রোগী। এছাড়াও রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

রাজধানী ঢাকার পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ছুটছে নতুন রোগী। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের অধিকাংশই ঢাকা থেকে ফেরার পর আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে।

রাজবাড়ী সদর হাসাপাতাল: জেলার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র হলেও এখানে ডেঙ্গু শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। আলাদা কোনো ওয়ার্ড না থাকায় চাপ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মুন্সীগঞ্জেও। এছাড়া শেরপুর সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় খোলা হয়েছে আলাদা কর্ণার। যেখানে শুধুমাত্র ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসা নেবেন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্রও প্রায় এক। এছাড়া যশোরে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড চালু করেছে যশোর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গু নির্ণয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চালু করা হয়েছে আলাদা সেল।

এদিকে, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় আলাদা বেড রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গু কর্ণার চালু করেছে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল। এছাড়া, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে খোলা হয়েছে তিনটি ওয়ার্ড। অন্যদিকে, গাজীপুর, চাঁদপুর, বগুড়া ও নেত্রকোণায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।