তালায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৫-০৬ - ১৫:৫৭

তালা প্রতিনিধি : এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ  আজ সোমবার ৬ মে। এর আগেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তালার খলিলনগর ইউনয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম ফল প্রার্থী শতাব্দী রায় (১৬) ঘরের আড়ায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এনিয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়,উপজেলার গঙ্গারামপুর এলাকার জনৈক প্রিতম করের সাথে প্রেমজ সর্ম্পকর জের ধরেই আত্মহত্যায় বাধ্য হয় সে।

সূত্র জানায়,প্রিতমের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল শতাব্দীর। এনিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে তাদের বিয়ে নিয়ে কয়েক দফায় কথাও হয়। তবে প্রিতমের মা তাদের বিয়ের জন্য ৩ বছর অপেক্ষা করতে বলে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শতাব্দীর বাবা সুকুমার রায় তা মেনে না নিয়ে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। আর এতেই বাধে বিপত্তি। প্রিতম ঐ বিয়ে ভাংতে নিজে ও শতাব্দীকে ব্যবহার করে। ভেঙ্গে যায় বিয়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে শতাব্দীর বাবা নিজ মেয়েকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। অন্যদিকে প্রিতমকে প্রশমনে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফার বসাবসিও হয়।  তবে এতেও কাজ না হওয়ায় এমনকি প্রিতমের সাথে শতাব্দী ফের যোগাযোগ করলে বিষয়টি বুঝতে পেরে বুধবার রাতে সুকুমার তাকে ব্যাপক বকাবকি করে। এতে রাগে,দুঃথে, ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রিতম শতাব্দীর সাথে প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করে বলে,তাদের সর্ম্পকর কারণে সুকুমার তাকে শারীরীক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর থেকে সে আর শতাব্দীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। প্রিতমের মাও তাদের সর্ম্পকর বিষয়টি স্বীকার করে বিয়ের জন্য ৩ বছরের অপেক্ষা করতে বলেন বলে জানায়।

এদিকে শতাব্দী পরিবারের পক্ষে তার অন্যত্র বিয়ের চাপ,অন্যদিকে প্রিতমের সাথে সম্পর্ক এমনতর মানষিকচাপে সর্বশেষ বুধবারের ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শতাব্দীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে স্থানীয় শ্মশানে তার সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনায় তালা থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও তার মৃত্যুতে কোন হত্যা কিংবা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা হয়নি।

এব্যাপারে শতাব্দীর বাবা সুকুমারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।