তালায় বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৯-০৮-০৭ - ১৮:২৫

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালায় শরিকের একই জমি দুইবার বিক্রি করে এক অসহায় পরিবারকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ গোলদার ছেলে মো: আব্দুল হাকিম।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হাকিম বলেন, আমার বাবা চাচারা দুই ভাই এবং দুই বোন। এর মধ্যে আমার ছোট ফুফু ফতেমা বিবি আমার পিতা বেচে থাকা কালিন সময়ে তার অংশে শাহাপুর মৌজার বর্তমান ৩৯আরএস খতিয়ানের ৪২৮ দাগের সাড়ে ২২ শতক সম্পত্তি প্রাপ্যদার হয়। সেই সময় তার অংশের সম্পত্তি আমার পিতার নিকট থেকে অংশ মোতাবেক টাকা বুঝে নিয়ে জমি আমার পিতার অনুকুলে দখল বুঝে দেন। সেখানে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত আমার পিতা বসত ভিটা তৈরি করে ভোগ-দখল করেছে এবং আমি বর্তমানে সেখানে বসবাস করছি। কিন্তু আমার পিতা মারা যাওয়ায় জমি রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে আমার পিতা মারার যাওয়ার পরে আমার ফুফুকে অনেকবার রেজিষ্ট্রির কথা বলেছি তাতে তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়ে এসছেন। বর্তমানে আমাকে না দিয়ে টাকার লোভে অন্যের নিকট আমার বসত ভিটা বিক্রি করছে। এই বসত ভিটা ছাড়া আমাদের আর কোন সম্পত্তি নেই।
তিনি বলেন, শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগ দখলীয় জমি বর্তমানে একই গ্রামের মৃত খোরশেদ মোড়ল এর স্ত্রী আমার ফুফু ফতেমা বিবি, একই গ্রামের মৃত একিম মোড়লের ছেলে নিছার আলী মোড়ল এর নেতৃত্বে ও কুপরামর্শে আমার বসত ভিটা পুনরায় বিক্রির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তার এই অপকর্মে আমার চাচাতো ভাই আছাদুল গংরা তাদের নিকট আত্মিয় এক উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা থাকায় তার ভয় দেখিয়ে আমাদের জিম্মি করে বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। আমি সম্প্রতি উপজেলার খেশরা পুলিশ ফাড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করলে সেটিও ঐ পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে পন্ড করে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমার পরিবার নিয়েএই অপশক্তির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই জমি রেজিষ্ট্রি হলে আমার বাপ দাদার ভিটা ছেড়ে আমার পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই কুচক্রী মহলের মিথ্যা অপচেষ্টা থেকে রেহায় পেয়ে আমার বসত ভিটা ফিরে পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আব্দুল হাকিম।