তালায় সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-২৮ - ২০:৪৭

তালা : তালায় বন্যা নিয়ন্ত্রনবাঁধ কেটে সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ধুলন্ডা বিলে ঘটেছে। মাগুরা- জেঠুয়া কপোতাক্ষের সংযোগ খালটি গত এক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোডের সহযোগীতায় প্রায় ১ কোট টাকা ব্যায়ে খনন করা হয়। সরকারি সংযোগ খালটি বর্তমানে খাল পাড়ের জমির মালিক তালা উপজেলার ধুলন্ডা গ্রামের জিয়াদ আলী শেখের পুত্র আব্বাজ আলী শেখ তার নিজের জমি দাবী করে খননকৃত খালের মাটির বাঁধ কেটে খালের ভিতরে ফেলে ভরাট করার পায়তারা করছে। এলাকার লক্ষাধিক লোকের জলাবদ্ধাতা নিরসনের লক্ষে খনন করে যে বাঁধ নির্মান করা হয়েছে, ভুমিদস্যুদের কবলে পড়ে সেটি আজ সমতল ভুমিতে পরিনত হতে যাচ্ছে।
এব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় এলাকাবাসী জাহান আলী বিশ্বাস(৬৫), মোমিন শেখ(৪০), আঃ আজিজ দফাদার(৪৫), সবুর মাহমুদ(৫২), মতিয়ার গাজী সহ একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, খাল খনন করে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। যে সময় খাল খনন করা হয় তখন আব্বাজ আলী শেখ তার নিজের জমি দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেন। কিন্তু তিনি তার নিজের জমি প্রমান না করতে পারায় পানি উন্নয়ন বোড এই খাল খনন করে ভেড়িবাঁধ দিয়েছে। যার ফলে এবার বর্ষা মৌসুমে খাল দিয়ে পানি সরবরাহ করায় জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু বর্তমানে আব্বাজ আলী শেখ সু-কৌশলে বাঁধ কেটে খালের ভিতরে ফেলে নিজের জমি তৈরি করে পানি চলাচলের বিঘœ ঘটাচ্ছে। এলাকাবাসী আরও জানান, একই ব্যক্তি এলাকার আদিত্য ও গোবিন্দের জমি জবর-দখল করে রসুনের চাষ করেছে।এলাকাবাসী উক্ত খাল ভরাটকারী ও জবর-দখলকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে আব্বাজ আলী শেখ জানান, আমার ৯৬ শতক জমির সীমানা খালের মাঝখান পর্যন্ত। কিন্তু আমার জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক খাল খনন করেছে। আমি এবাপারে তালা থানায় অভিযোগ করেছিলাম ওসি সাহেব এর কোন সঠিক বিচার করেনি। তিনি হলফ করে আরও বলেন, আজ হোক আর কাল হোক আমার জমি আমি বুঝে নেব কেউ ঠেকাতে পারবে না। আর যদি কোন দিন জামায়াত- বিএনপি ক্ষমতায় আসে সেদিন দেখবো।
এব্যাপারে মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীয় এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে সরকার যে খাল খনন করে ভেড়িবাঁধ নির্মান করেছে সেটি কেটে খাল ভরাট করছে আমিও শুনেছি। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, কে কাটছে কে ভরাট করছে, আমি এব্যাপারে জানিনা। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।