তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাচাইয়ের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশঃ ২০১৯-০১-২৭ - ২১:১০

সেলিম হায়দার, তালা : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনে চুড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে দ্বিতীয় দিনেও দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ধটনা ঘটেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রবিবার (২৭ জানুয়ারী) দুইটার দিকে তালা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এঘটনা ঘটে ।
দলীয় একাধিক সূূত্র জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই পর্বের দ্বিতীয় দিন (রবিবার) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী থাকায় ভোট ছাড়াই সমঝোতায় বর্তমান চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামকে তিনজনের চুড়ান্ত তালিকা নিয়ে রেজুলেশনে কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর করা হয়। পরবর্তীতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী উপস্থিত থাকায় আলোচনার মাধ্যমে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সরদার মশিয়ারের নাম ১ নং রাখার প্রস্তাব উঠলে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইখতিয়ার হোসেন সমার্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সরদার মশিয়ার রহমান সমর্থকদের উপর হামলা করে। এসময় মশিয়ার সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিমুল এই হামলার শিকার হয়ে আহত হন। এসয় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে । এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারনে লক্ষ্যে এক বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভার একপর্যায়ে সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম তার বক্তব্যে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন তৃণমূলের ভোট নয়, জেলা নেতৃবৃন্দের মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্বের কথা জানালে সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে হই-হট্টগোল ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সভার অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করে গাড়িতে উঠলে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে তাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। রবিবার (২৭জানুয়ারী) ছিল কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্ধারনের দিন । দ্বিতীয় দিনেও আবারও এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।