থেমে আছে দাকোপ-বাজুয়া রুটে রাস্তা উন্নয়ন কাজ : জনদূর্ভোগ চরমে

প্রকাশঃ ২০২০-০১-০৪ - ১৬:৩০

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : ঠিকাদারের দায়িত্বহীনতায় দাকোপের শিংজোড়া টু বাজুয়া অভিমুখের ৩ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ থেমে থাকায় জনদূর্ভোগ চরমে। কাজ শুরুর পর থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লাপাত্তা। নির্ধারীত মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথচ এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ২০ ভাগ।
উপজেলা দাকোপের কালীনগর ব্রীজ সংলগ্ন দাকোপ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ধোপাদী হরির ব্রীজ পর্যন্ত বাজুয়া অভিমুখের ৩ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিংয়ের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে টেন্ডার আহবান করা হয়। ২ কোটি ৪০ লক্ষ ৪২৬ টাকার প্যাকেজে জনৈক নাসিম আকনের মালিকানাধীন মেসার্স আকন ট্রেডিং এন্ড কোং নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করছে। গত ২৭/০১/১৯ শুরু হয়ে ২৬/০১/২০২০ সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা। এলাকাবাসীর ধারাবাহিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাজের বেহাল অবস্থা। পূর্বের সোলিংয়ের ইট গুলো খুলে কেবল সাইডের মাটির তৈরী গাউড দেয়াল ছাড়া এই নির্ধারীত সময়ে কাজের কোন অগ্রগতি নেই। অপর দিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেই থেকে লাপাত্তা এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। অথচ এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত মানুষকে নিত্যু প্রয়োজনে বাজুয়া, ধোপাদী, শিংজোড়া, সিটিবুনিয়া ও দক্ষিন দাকোপ গ্রামে যাতায়াত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগী সুকুমার মন্ডল, রনজিত সরদার, প্রফুল্য রায়, পরেশ মন্ডল, নির্মল মন্ডলসহ অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, বিকল্প রাস্তা না থাকায় এটি আমাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আগে ইট সোলিং ছিল আমরা কষ্টে পিষ্টে যাতায়াত করছিলাম, কিন্তু উন্নয়নের নামে দীর্ঘকাল সেই ইট তুলে ফেলে রাখায় আমাদের হেটে চলাফেরাই এখন কষ্ট সাধ্য। বর্তমানে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হওয়ায় জরুরী রুগী নিয়ে উপজেলা সদর কিংবা অন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। আর বর্ষা মৌসুমে মানুষের নাকাল অবস্থায় পড়তে হয়। শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায় অভিযোগ করে বলেন, এই নাসিম আকন একজন ব্যর্থ ঠিকাদার। এর আগে সে উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে জাইকা ব্রীজ নির্মানে অনুরুপ ভাবে বছরের পর বছর সময় লাগিয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস এ পর্যন্ত ২০% কাজ হয়েছে দাবী করে বলেন, ইতিপূর্বে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধীকবার চিটি দিয়ে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় এল জি ইডির ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন তাকে আবারো সতর্ক মূলক চিটি দেওয়া হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি অতিদ্রুত নির্মান কাজ সমাপ্তের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।