দাকোপে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আনোয়ারের ৬ দিনে জ্ঞান ফেরেনি

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-০৩ - ১২:০৬

আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ দাকোপে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দফা হামলা মারপিট অগ্নি সংযোগ। আশংকাজনক অবস্থায় ১ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। করোনার প্রভাবে আড়াল হয়ে যাওয়া ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকা ব্যক্তির গত ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি। এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আর ৭ জনের নামে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
দাকোপ থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ গরুতে ক্ষেতের তরমুজ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুত্রপাত। জানা যায় উপজেলা সদর আনন্দ নগর গ্রামের মৃঃ কোরবান খানের পুত্র বোরহান খানের ক্ষেতের তরমুজ প্রতিবেশী মৃঃ বসির শেখের পুত্র ইকতার শেখের গরুতে খায়। ক্ষেত মালিক বোরহান গরুটি ধরে নিয়ে নিজ বাড়ীতে আটকে রাখে। ওই দিন বেলা ১২ টার দিকে ইকতার গরু আনতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ক্ষেত মালিক বোরহান দাকোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে ইকতারের ভাই মুক্তার শেখ এ ঘটনার মামলার আসামীদের সাথে নিয়ে বোরহানকে দেখতে হাসপাতালে আসে। এ সময় মুক্তারকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বোরহান আসামীদের হুকুম দেয় “আমি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ইকতারকে হাসপাতালে পাঠাবি”। পরিস্থিতি বুঝে মুক্তার হাসপাতাল থেকে সরে পড়ে। এরপর ওই দিন বিকাল ৫ টার দিকে আসামী মোহেদী মোল্যা, মেসকাত মোল্যা, মেজবা মোল্যা, সফিক মোল্যা, আইয়ুব মোল্যা, আলমগীর মোল্যা, সোলাইমান মোল্যা, ইমরান মোল্যা, ইউনুস মোল্যা, জাকার গাজী, আনিস মোল্যা, ও হাসান মোল্যার নেতৃত্বে ১৮/২০ জন সশস্ত্র অবস্থায় গিয়ে ইকতার শেখের বাড়ীতে হামলা ও ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। আগুন নিভাতে এবং হামলাকারীদের নিবৃত করতে গেলে ইকতার শেখ, তার ভাই মুক্তার শেখ, আনোয়ার শেখ, মোস্তফা, ভাইপো আব্দুল্লাহ, ওসমান, ভাগনে রফিকুল, গৃহবধু পারভীন, রকি, কন্যা আয়েশাসহ পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারপিট ও দায়ের কোপে রক্তাত্ব জখম হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদেরকে উর্দ্ধার করে দাকোপ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরমধ্যে আনোয়ারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রেফার্ড করে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সঙ্গাহীন অবস্থায় আইসিইউতে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছে। এ ঘটনায় ইকতারের ভাই মুক্তার শেখ বাদী হয়ে উল্লেখিত ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭ জনকে আসামী করে দাকোপ থানায় ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩০৭, ৪৩৫, ৪২৭, ৩৫৪, ৩৭৯, ১০৯, ১১৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে। যা দাকোপ থানার মামলা নং ১ তাং ০১/০৪/২০২০। উল্লেখ্য সদ্য মাষ্টার্স পাস করে যশোরে একটি এনজিওতে চাকুরীরত আনোয়ার করোনা পরিস্থিতির কারনে ছুটিতে বাড়ীতে এসে এই হামলার শিকার হয়।