দাকোপে মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে ধান গভেষনার মহাপরিচালক

প্রকাশঃ ২০২০-১১-১১ - ১৮:২০

উপকুলিয় অঞ্চলে ব্রী ৭৬ ও ৮৭ জাতের ধান চাষে ফলন কয়েক গুন বেশী পাওয়া যাচ্ছে

দাকোপ প্রতিনিধি : দেশের উপকুলিয় এলাকা গুলোতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। লবনাক্ত এ সব উপকুলিয় অঞ্চলে ধানের উৎপাদন বাড়াতে গতানুগতিক আমন চাষের বাইরে এসে আমাদের গভেষনায় তৈরী করা উন্নত জাতের ব্রী ৭৬ এবং ব্রী ৮৭ জাতের ধান চাষে ফলন যেমন কয়েক গুন বেশী পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি অল্প সময়ের ব্যবধানে কৃষকরা এ ধান ঘরে তুলতে পারছে। বর্তমান সরকারের যে উদ্দেশ্য দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন করা সেই লক্ষ্য পূরনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার সকালে খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী গ্রামে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ধান গভেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর এ কথা বলেন। স্থানীয় মমতাজ বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ব্রী’র সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আঃ মান্নান, উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের। বক্তৃতা করেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কৃষক প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সুরঞ্জন সরদার, দাকোপের সফল কৃষক অখিল হালদার, হরিদাস বর্মন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রকল্পের সিনিয়র গভেষণা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন এবং সমন্বয় করেন ব্রী’র দাকোপের সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম। উল্লেখ্য ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কল্পে এসিআইএআর, অষ্ট্রেলিয়া এবং কেজিএফ বাংলাদেশের অর্থায়নে সিএসআইআরও এবং মারডক বিশ্ববিদ্যালয় অষ্ট্রেলিয়ার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ধান গভেষণা ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ ও ভারতের উপকুলিয় এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর আগে তারা সরাসরি মাঠে গিয়ে ধান কাটার উদ্বোধন এবং ফসলের মাঠ ঘুরে দেখেন।