দাকোপে সরকারী খাল ও জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-৩০ - ১৮:৪৩

আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে নলডাংগায় অবৈধ ভাবে খাল ভরাট করে বাড়ী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারনে প্রায় প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমির পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙ্গা, ভাদলাবুনিয়া, সত্যপীর গ্রামবাসীর পক্ষে আতিয়ার রহমান শেখ, মতলেব শেখ, মাহাবুর ও নুর ইসলাম শেখ সরকারী খাল ও সম্পদ দখল মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অনুসন্ধানকালে দেখা যায় স্থানীয় আমজাদ শেখ, আবুল শেখ, রফিক শেখ গড়খালী খাল (নদী) মুখ ভরাট করে একাধীক বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে। খালের মুখ ভরাট করার ফলে এক সময়ের নদী এখন নালায় পরিনত হয়েছে। এলাকার প্রায় ৪ হাজার বিঘা ফসলী জমির পানির প্রবাহ বাধা সৃষ্টিসহ বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অনেকে আবার খাস খালের অংশ দখলে নিয়ে বেচাকেনা করছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য আবুল কালাম শেখ, কৃষক নেয়ামত শেখ, পীর আলী শেখ, সাইফুল শেখ অভিযোগ করে বলেন, মোজামনগর গড়খালী ভায়া নলডাঙ্গার ভদ্রা নদীতে সংযুক্ত নদীটি দখলবাজদের কারনে মৃতঃপ্রায় নালায় পরিনত হয়েছে। নলডাঙ্গা বাজারে রফিক শেখ, জামিল শেখ. আমজাদ শেখ সরকারী খাজ জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এ ছাড়া একই স্থানে নদীর মুখ ভরাট করে আরো ১০ থেকে ১৫টি দোকান ঘর নির্মিত হয়েছে। সরকারী জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মানের অভিযাগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর সবুর ঘটনাস্থালে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে নিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হোসেন শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারী ভাবে ১ একর জায়গা বন্দবস্ত নেওয়া রমেশ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে ক্রয় করে তারা বসবাস করছেন। তবে পানি সরবারাহের প্রয়োজনে জন্য খালের মুখ বড় করলে আমি জায়গা ছেড়ে দেব।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তারিফ উল হাসান জানান, নলডাঙ্গা বাঁধে সরকারী খাজ জায়গায় ঘর নিমার্ণ করছে এমন সংবাদ পাওয়ায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে নিমাণ কাছ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন খাল ভরাট করে কেউ ঘর নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অন্যান্য বিষয় গুলি যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।