দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাশেদের রোজগারে সংসার চলে

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-০৪ - ২০:৪৬

ফারুক হোসেন,সাঁথিয়া : সাঁথিয়ায় জন্মান্ধ রাশেদ অনেক কষ্ট করে এইচএসসি পাশ কর্ওে প্রতিবন্ধী কোঠায় চাকরি পায়নি। তবে তাই বলে তার জীবনসংগ্রাম থেমে নেই। অদম্য ইচ্ছেশক্তি ্ও পরিশ্রমবলে সে বিস্ময়করভাবে মোবাইলফোনে ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, ডাচবাংলা প্রভৃতি অনলাইনমাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিয়ে জীবিকানির্বাহ করছে। ফলে রাশেদ এখন আর কারো অনুগ্রহের পাত্র কিংবা পরিবারে বোঝা না । তার রোজগারেই সংসার চলে।

জানা যায়, এই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আরাফাত আহমেদ রাশেদ (৩২) সাঁথিয়া উপজেলার পুরানচরগ্রামের মজিদ আহমেদের ছেলে। মজিদ আহমেদ স্বাস্থ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি। তিনভাই বোনের মধ্যে রাশেদ বড়। নানা প্রতিকুলতাসত্ত্ব্ওে সে এইচএসসি পাশ করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রতিবন্ধী কোঠায় তার চাকরি হয়নি। তাতে কি? থেমে নেই তার জীবনসংগ্রাম। কাজ শিখে সাঁথিয়া বাজারে ব্যবসা খুলে সে এখন আয়-রোজগার করছে। শিরিন আক্তার নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করছে। তার রাকা,কনক নামে দুটি কন্যাসন্তান্ও রয়েছে।তবে বড় মেয়ে রাকা তার মতোই দৃষ্টিহীন।তার পাশের টেলিকমব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, রাশেদ অনেক মেধাবী।যেকোন বিষয় একবার শোনার পর তার মুখস্থ হয়ে যায়।আমরা তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইনি যে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোবাইলফোনে রির্চাজ, বিকাশ গ্রাহকসেবা দিতে পারবে।রাশেদের বাবা মজিদ আহমেদ জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। অনেক কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া করিয়েছি। একটা সরকারী চাকরি না হ্ওয়ায় হতাশ তিনি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাশেদ জানায়, অনেক কষ্ট করে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে এইচএসসি পাশ করে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন কর্ওে একটি চাকরি হয়নি। তদবির এবং টাকাÑপয়সা ছাড়া সরকারি চাকরি হয়না বলে সে জানায়।