ধর্ষণ থেকে বাঁচতে দোতলা থেকে লাফ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৫-২৯ - ১২:৫৩

ঢাকা অফিস : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ভবনের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কয়েক দিন আগে মির্জাপুরের পাকুল্যা বাজারে অবস্থিত ‘যুগবানী সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার তানজিরু হাসান জীবনের সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির। এ সময় নিজেকে এশিয়া ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন জীবন। মেয়েটিকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয়।

গেল ২৬শে মে সকালে যুগবানী সমাজকল্যাণ সংস্থার মহিলা স্টাফ আফিয়া বেগমকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ডেকে নেয় জীবন। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কক্ষ থেকে বের হয়ে পালাতে চেষ্টা করে সে। এ সময় ভবনটির মূল দরজা বন্ধ পাওয়ায় বারান্দার দরজা দিয়ে পাশের ডোবায় লাফিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয়রা জানান, ‘আমরা দেখি যে ওই মেয়েটি ওখানে পড়ে আছে। পরে মেয়েটিকে ওখান থেকে নিয়ে একটি ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যে অপকর্ম করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি আমরা।’

মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসক ডা. প্রত্যয় বড়ুয়া জানান, ‘কোমরে একটি ফ্রেকচার পেয়েছি এবং তার ডান পায়ের তালুতে একটি কাটা ছিল। বর্তমানে সে আশঙ্কা মুক্ত আছে।’

এর ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান মেয়েটির মা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে জীবন। মঙ্গলবার ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মির্জাপুর থানায় জীবন ও আফিয়ার নামে মামলা করলে আফিয়াকে আটক করে পুলিশ।

মির্জাপুর থানা উপ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ জানান, ‘সহযোগী যে আসামী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামী পলাতক আছে। সেই আসামীকে গ্রেপ্তারের আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।‘

অভিযুক্ত জীবন ও সংস্থাটি প্রভাবশালী হওয়ায় শাস্তি নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা চেয়েছে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ছাত্রীটি।

মেয়েটি বলেন, ‘সবাই যদি প্রতিবাদ করে, সবাই যদি আমার পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে ছেলেটা ভয় পাবে। ফলে ছেলেটা উপযুক্ত শাস্তি পাবে এবং এরকম আর কোনও ছেলে কোনও মেয়ের জীবন নষ্ট করার সাহস পাবে না।’

মূল আসামি জীবনকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে এলাকাবাসী।