নুসরাত জাহান রাফির যৌন হয়রানির মামলার আদালত পরিবর্তন

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-০৪ - ১৫:১৩

ঢাকা অফিস : ফেনী সোনাগাজী মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি মামলার অভিযোগপত্র সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে, এখন থেকে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলাটির বিচার কাজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে।

গতকাল বুধবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্য সিরাজউদ্দোউলাকে একমাত্র আসামি করে এ অভিযোগপত্র দেন।

পরে, আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ বা বাতিল করার এখতিয়ার না থাকায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

এর আগে, নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলাটিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা  হয়।

প্রসঙ্গত, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭শে মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এরপর, গত ৬ই এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে যান নুসরাত। তখন কৌশলে তাকে ৪-৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ছাদে ডেকে নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে, ফেনী সদর হাসপাতালে থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এরপর, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ই এপ্রিল রাতে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

পরে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এ মামলায়, পিবিআই ও পুলিশ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া পাঁচজনসহ ১২ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।