আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে ইউপি রাস্তার অর্ধকোটি টাকার গাছ ১২ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এ রাস্তার কাগজপত্র ঠিক করতে পোড়াতে হয়েছে কাঠ খড়ি সবক্ষাণে দিতে হয়েছে টাকা তারপরেই ইউনিয়ন পরিষদ হতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে গাছ কর্তনের অনুমতি পেয়েছেন সিপন ট্রেডাসের মালিক আব্দুল ওয়াদুদ প্রধান। সরেজমিনে গিয়ে গাছ কর্তন বিষয়ে জানতে চাইলে এভাবে বলেন গাছ কর্তনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ব্যবসায়ি সিপন ট্রেডাসের মালিক আব্দুল ওয়াদুদ প্রধান।
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গত ১৮ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে স্মারক নং গাই/পলাশ/ইউ- মহদীপুর/২০২০/১৪০ ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল স্বাক্ষরিত পত্রে সূত্র হিসাবে দেখানো হয়েছে ১। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কায়ালয় পলাশবাড়ী গাইবান্ধা স্মারক নং ০৫.৫৫.৩২৬৭.০০০.৩৭.১৮-৭৯৬(৬) তারিখ-২৯-০৯-২০২০ ইং২। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গাইবান্ধা স্মারক নং-২২,০১৩২০০. ২৮৯.২৮.০০০.১৯.৩১ তারিখ ২০-৮-২০২০ ইং । ৩। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় সামাজিক বন বিভাগ রংপুর স্মারক নং-২২.০১.১৮৫০০.২৮১.১৭.০১৫.২০-
এ পত্রে আরো শর্তবলি উল্লেখ্য করা হয় ১। দরপত্র অনুযায়ী ২৭৯ টি গাছ ব্যতিত কোন গাছ কর্তন করা যাবে না।২। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে গাছ কর্তন করিতে হইবে। ৩।কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হইলে কোন নোটিশ ব্যতিরিকেই ইহা বাতিল অধিকার সংরক্ষ করে। এছাড়াও এ পত্রে অফিস কপি সহ ১১ টি স্থানে অনুলিপি কপি প্রদান করা হয় ।
সরেজমিনে গিয়ে , দেখা যায় গাছ কর্তন কার্যাদেশ অনুযায়ী উক্ত প্রতিষ্ঠানটি গাছ কর্তন শুরু করেছে এসময় গাছ কার্যাদেশ প্রাপ্ত কর্তনকারী আব্দুল ওয়াদুদ প্রধানের নিকট ২৭৯ টি গাছ এতো অল্প মূল্যে পাওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রায় ২ বছর সাধন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে টাকা পয়সা দিয়ে কাগজ পত্র বের করে বর্তমান সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ হতে কার্যাদেশ নিয়ে গাছ কর্তন করছি । ১২ লাখ ৫৪ হাজার চাকা দাম দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে গাছ কর্তন করছি।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলামের কাছে জানতে তাহার ফোনে কলদিলে তিনি রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে গাছ রোপনকারী রেনেসা সমবায় সমিতির সভাপতি শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১১ হতে ১২ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে ২ শত ৩০ হতে ৩২ টি গাছ। এসময় কাগজে উল্লেখিত গাছের সংখ্যা ২৭৯ টি বললে তিনি তখন বলেন এরকমি হবে এরপর তিনি কতটাকায় গাছ গুলো বিক্রি শেষে কর্তনের অনুমতি পেয়েছেন তাও তিনি বলতে পারেনি । তবে গাছ ব্যবসায়ির নিকট বাড়তি অর্থ নিয়ে অল্প মুল্যে গাছ গুলো বিক্রি করা হচ্ছে যার সুফল সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ম্যানেজ করার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির হোসেন আরো বলেন সর্ব জায়গায় দূর্নীতি দূর্নীতি ছাড়া কোন কাজ হয় না ।সবক্ষাণে ম্যানেজ করে এসব রাস্তার গাছ কাটতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন জানান, গত ৫ বছর আগে এসব গাছের দাম বলা হয়েছিলো ২৭ লাখ টাকা আজ ৫ বছর পরে এসে এ গাছ গুলো আরো বড় ও মোটা তাজা হওয়ার পরেও দাম কমে গেলো সব যেন শুভংকরের ফাকি। দৃশ্যমান অনিয়মেই নিয়ম আমাদের কি বলার আছে আর বলার থাকতে পারে। যেই হরা সেই হরি কাকে কি বলে নিজেরা বিপদে পড়ি।
স্থানীয় একাধিক প্রবীন গাছ ব্যবসায়ির নিকট জানা যায় ,ইউপি রাস্তার গাছ গুলো দাম প্রায় ৪০ হতে ৪৫ লাখ টাকা কারণ ১৫০ টি গাছ ২০ হাজার টাকা হিসাবে বিক্রি করা যাবে বাকি ১২৯ টি গাছ ১০ হাজার ও ৫ হাজারের মধ্যে রয়েছে।